স্পোর্টস ডেস্ক : ওপেনার ইয়ানেমান মালান ও কুইন্টন ডি ককের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে আয়ারল্যান্ডকে ৭০ রানে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা। আর সেই সাথে মান বাঁচানোর লড়াইয়ে আর ভুল করেনি প্রোটিয়ারা।
তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজের প্রথমটি ভেস্তে যায় বৃষ্টিতে। দ্বিতীয়টিতে দ. আফ্রিকাকে ৪৩ রানে হারিয়ে দেয় আয়ারল্যান্ড।
যে কারণে তৃতীয় ও শেষটি সিরিজ নিশ্চিতের ম্যাচ হয়ে দাঁড়ায়। বাঁচা-মরাই সেই মহারণে ঘুরে দাঁড়াল দ. আফ্রিকা।
শেষ ম্যাচে জিতে ১-১ ব্যবধানে ড্র করেছে টেম্বা বাভুমার দল।
ডাবলিনে রানের ফোয়ারা বইয়েছে দুই দলই। দুই ইনিংস মিলিয়ে এক ম্যাচেই এসেছে ৬২২ রান। তিনটি সেঞ্চুরির দেখা মিলল ম্যাচে
প্রথম ইনিংসে মালানের অপরাজিত ১৭৭ ও ডি ককের ১২০ রানের সৌজন্যে ৪ উইকেটে ৩৪৬ রান তুলে দক্ষিণ আফ্রিকা।
রানের পাহাড় তাড়ায় অপরাজিত সেঞ্চুরি হাঁকান আয়ারল্যান্ড সিমি সিং। তবে তার মতো আর কেউ ভালো ব্যাট না করতে পারায় ২৭৬ রানে থামতে হয় আয়ারল্যান্ডকে।
ওপেনিংয়ে নেমে ৯১ বলে ১১ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায় ১২০ রান করেন ডি কক। অপর ওপেনার মালান ১৬৯ বলে ১৬ বাউন্ডারি ও ৬ ছক্কা হাঁকিয়ে ১৭৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনিং জুটি থেকে রান আসে ২২৫ রান! ১২০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ৩০ বছরের কম বয়সে সপ্তম কিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ডি কক স্পর্শ করেন ১০ হাজার রান।
ডি কক আউট হলে রাসি ফন ডার ডাসেনের সঙ্গে ৮১ রানের জুটি গড়েন মালান।
নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩৪৬ রানের পাহার জমা করে দ. আফ্রিকা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি আইরিশদের। ১৯ ওভারে ৯২ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা।
তবে সপ্তম উইকেটে কার্টিস ক্যাম্পারের সঙ্গে ১০৪ রানের জুটি গড়ে দলকে টেনে নেন সিমি। ৫৪ বলে পাঁচ চার ও এক ছক্কায় ৫৪ রান করে ক্যাম্পার আউট হন। এরপর একাই দলকে টেনে নিয়ে যান সিমি।
শেষ পর্যন্ত ৯১ বলে ১৪ চারে ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন এই অলরাউন্ডার।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন তাবরাইজ শামসি ও আন্দিলে ফেলুকওয়ায়ো। অভিষেকে প্রথম বলেই উইকেট নেন পেসার লিজাড উইলিয়ামস।
ম্যাচ হাইলাইটস দেখুন –