হেল্থ ডেস্ক: চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে হতদরিদ্রদের বাঁচাতে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর মহাখালীতে ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল’-এ হাই ফ্লো নেজাল ক্যানুলা মেশিন, বাইপ্যাপ মেশিন এবং এক্সেসরিজ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, মহামারী চলাকালীন এটি কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেবে। মহামারী শেষ হলে এটি সিটি করপোরেশনের জেনারেল হাসপাতাল হিসেবে পরিচালিত হবে। সেখানে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। ডিএনসিসি মেয়র আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে স্বশরীরে পশুর হাটে না গিয়ে অনলাইনে ডিএনসিসি ডিজিটাল হাট-২০২১ থেকে কোরবানীর পশু ক্রয় করার জন্য পরামর্শ দেন। মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে আমাদের সকলকে সরকারের নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্য বিধিসমূহ যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।
এ সময় ডিএনসিসি মেয়র সমাজের বিত্তবানদের ত্যাগ ও কোরবানির মাসেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসায় আর্থিক সহযোগিতার আহ্বানও জানান।
আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক দিকনির্দেশনা ও আন্তরিক সহযোগিতার ফলেই অল্প সময়ের মধ্যে প্রস্তুত দেশের সবচেয়ে বড় এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল’-এ রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে। হাসপাতালের জমি, ভবন, বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। ৭ দশমিক ১৭ একর জমিতে তৈরি এক লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ বর্গফুট আয়তনের ডিএনসিসির একটি বিপণি-বিতানকে ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯’ হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়েছে।
নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবায় ব্যবহারের জন্য তার পক্ষ থেকে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে অত্যাধুনিক দুটি অ্যাম্বুলেন্স এবং একটি লাশবাহী গাড়িও দেওয়া হয়। ডিএনসিসি মেয়র হাসপাতালের পরিচালকের কাছে আটটি হাই ফ্লো নেজাল ক্যানুলা মেশিন, ১৮টি বাইপ্যাপ মেশিন এবং ৪০ প্যাকেট বাইপ্যাপ মেশিনের এক্সেসরিজ হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে. এম. খালিদ, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, স্থানীয় কাউন্সিলরসহ হাসপাতালে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।