স্পোর্টস ডেস্ক: ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে ১৫তম বারের মতো কোপা আমেরিকার শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে আর্জেন্টিনার। এই জয়ে ১৯৯৩ সালের পর প্রথমবারের মতো কোন শিরোপা স্থান পেল আকাশী-নীলদের ট্রফি ক্যাবিনেটে। আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে প্রথম শিরোপার স্বাদ পেলেন লিওনেল মেসি। ম্যান অব দ্যা ম্যাচ পেলেন অ্যাঞ্জেলা ডি মারিয়া।
মারাকানায় ধ্রুপদি লড়াইয়ের শুরুটা কেটেছে দুই দলের শক্তি প্রদর্শনে। ২১ মিনিটে ব্রাজিলের ডেডলক ভাঙেন আনহেল দি মারিয়া। রদ্রিগো দি পলের চোখধাঁধানো পাস ধরে ঠান্ডা মাথার চিপে দলকে লিড এনে দেন পিএসজি তারকা।
ক্ষণে ক্ষণে সেলেসাও শিবিরে ভয় বাড়িয়েছিলো আলবিসেলেস্তে। তবে দি মারিয়া-মেসিদের আর সফল হতে দেয়নি স্বাগতিক রক্ষণ। সমতায় ফিরতে খোলস ছেড়ে বের হয় ব্রাজিল। একাধিক আক্রমণ করেও বিরতির আগে ব্যবধান কমাতে পারেনি নেইমাররা। ২৮ বছরের শিরোপা খরা কাটলো আর্জেন্টিনার। সঙ্গে জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম ট্রফি জয় লিওনেল মেসির।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই একের পর এক জোরাল আক্রমণ করতে থাকে ব্রাজিল। ৫২ মিনিটে সফলও হয়। ডি-বক্সের মধ্য থেকে আলবিসেলেস্তেদের জালে বল জড়িয়ে দেন রিচার্লিসন। কিন্তু আক্রমণের শুরুতে তিনি অফসাইডে থাকায় বাতিল করে দেন রেফারি উরুগুয়ান রেফারি এস্তাদিয়চ।
ম্যাচের শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেছেন ব্রাজিলের ফ্রেড। ম্যাচের ৩ মিনিটের মাথায় মন্তিয়েলকে ফাউল করার জন্য রেফারি কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করেন তাকে।
১০ মিনিটের মধ্যে বেশ কয়েকটা কড়া ট্যাকল চোখে পড়ে। উভয় দলই একে অপরকে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে নারাজ।
১৩ মিনিটের মাথায় বক্সে নেইমারের দিকে বল বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন রিচার্লিসন। তবে বাধা দেন ওতামেন্দি।
পেনাল্টি স্পটের কাছে পেয়ে ঠিকমতো শট নিতে পারেননি নেইমার। ওতামেন্দির পায়ে প্রতিহত হয় তা। এই ১৩ মিনিটে বারবার খেই হারাতে দেখা গেছে নেইমারকে।
২২ মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত এক গোলে আর্জেন্টিনাকে ১-০ এগিয়ে নেন ডি মারিয়া। ফাইনালের প্রথম একাদশে ডি মারিয়াকে ফিরিয়ে তার উপর আস্থা রেখেছিলেন আর্জেন্টিনা কোচ। আস্থার যথাযথ মর্যাদা রাখেন তিনি।
মাঝমাঠ থেকে দি পলের বাড়ানো বল ধলে ব্রাজিল গোলরক্ষক এডারসনের মাথার উপর তা জালে জড়িয়ে দেন ডি মারিয়া।