হেল্থ ডেস্ক: কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসে সর্বাত্মক লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিনে সর্বোচ্চ সংক্রমিত ১১ হাজার ৫২৫ জন। শনাক্ত হারও ৩১ দশমিক চার ছয় শতাংশ। মৃতের সংখ্যাও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬৩ জন। যাতে টানা ১০ দিন ধরে শতাধিক মৃত্যু দেখছে দেশ।সেই সাথে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না দেশের করোনা পরিস্থিতি।
দেশের তিন ভাগের দুই ভাগ জেলাতেই এখন করোনার উচ্চ সংক্রমিত। এটি বোঝা যাচ্ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর চিত্রের দিকে তাকালে। আর বুঝতে পারছেন তারা, যারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন স্বজন হারাচ্ছেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম প্রথম শনাক্ত হবার ১৭তম মাসের মাথায় একদিনে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত হলো দেশে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সবশেষ বুলেটিন অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ হাজার ৬৩১ টি নমুনা পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৫২৫ জনের নমুনায় করোনার উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে একদিনে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৪৬ শতাংশ ছুঁয়েছে। আর ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যূ ২৬৩ জনের। এরমধ্যে খুলনা বিভাগে সর্বোচ্চ ৪৬, ঢাকায় ৪৫, চট্টগ্রামে ২৪ ও রাজশাহীতে ২৪ জন।
তবে উচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যুর মাঝে কিছুটা সুসংবাদ আছে ভ্যাকসিনে। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত তার ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, চীনা উৎপাদকরা বাংলাদেশি ওষুধ প্রস্ততকারকদের সাথে আলোচনা করছে- কিভাবে যৌথভাবে করোনা টিকা উৎপাদন করা যায়।
আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক চ্যানেল টোয়েন্টিফোরকে জানিয়েছেন, রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের টিকা কেনার চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিক্ষা ও চিকিৎসায় বিদেশগামীদের টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
সূত্র : চ্যানেল টোয়েন্টি