ইকোনোমিক ডেস্ক: করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সোমবার (২৮ জুন) থেকে সীমিত পরিসরে এবং বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) থেকে সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে পোশাক কারখানাসহ শিল্পকারখানা খোলা থাকবে এবং সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম চলবে।
শনিবার (২৬ জুন) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে অনলাইন মাধ্যমে উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত সীমিত লকডাউনে বর্তমান নিয়মে শিল্পকারখানা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। এরপর বৃহস্পতিবার থেকে কঠোর লকডাউন শুরু হলে তখনও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে পোশাক কারখানাসহ শিল্পকারখানা চালু থাকবে এবং রপ্তানি কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকিং সেবাও চালু থাকবে।
ব্যাংকের লেনদেনের সময়সীমা কী হবে, তা নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্যাংক খোলা থাকলে শেয়ারবাজারও চালু থাকবে। এছাড়া সোমবার থেকেই গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাবে। তবে পণ্য পরিবহন চলবে।
বৈঠকে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের মধ্যে অংশ নেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান, নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
বিকেএমইএ সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম গণমাধ্যমকে বলেন, করোনার প্রথম থেকেই সুশৃঙ্খলভাবে পোশাক কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে। বিষয়টি বৈঠকে প্রশংসিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া লকডাউনেও কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে পোশাক কারখানাসহ শিল্পকারখানা চালু থাকবে।
বিজিএমইএ সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা ও কাভার্ড ভ্যান চালু রাখতে আমরা সরকারের উচ্চপর্যায়ে অনুরোধ করেছি। কারণ, লকডাউনে কারখানা বন্ধ রাখলে শ্রমিকরা গ্রামের বাড়ির দিকে রওনা দেবেন। তাতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ৯০ শতাংশ শ্রমিকই গণপরিবহন ব্যবহার করেন না, তারা কারখানার আশপাশে থাকেন। আবার উৎপাদন বন্ধ থাকলে ক্রয়াদেশ চলে যাবে।