স্পোর্টস ডেস্ক, আজনিউজ২৪: বাংলাদেশ শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছে ৯৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে। তাতে লঙ্কানদের প্রথমবার হোয়াইওয়াশের স্বপ্ন পূরণ হল না তামিম ইকবালের দলের। ২-১এ ওয়ানডে সিরিজ শেষ করল বাংলাদেশ। মিরপুরে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ২৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকরা গুটিয়ে যায় দুইশ’র আগেই। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৫৩ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত করেন ৫১ রান।
শ্রীলঙ্কা-২৮৬/৬ (৫০ ওভার); বাংলাদেশ-১৮৯/১০ (৪২.৩ ওভার)
লঙ্কান অধিনায়ক কুশল পেরেরার সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কাকে এনে দেয় লড়াকু পুঁজি। পরে দুসমন্থ চামিরার দুর্দান্ত বোলিং সহজ জয় এনে দেয় সফরকারীদের। ৯ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন। এ ডানহাতি পেসারের প্রথম স্পেলই বাংলাদেশকে নিয়ে যায় হারের দরজায়। ৬ ওভারে ১১ রান দিয়ে সাজঘরে পাঠান টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে।
চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৯ রানের মধ্যে নাঈম শেখ ও সাকিব আল হাসানের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি অধিনায়ক তামিমও। প্রথম দুই ম্যাচের মতো আবারও মুশফিকের ব্যাট আশা দেখায় বাংলাদেশকে। কিন্তু এবার আর বড় করতে পারেননি ইনিংস। ২৮ রান করে অফস্পিনার রমেশ মেন্ডিসকে উইকেট দেন মি. ডিপেন্ডেবল।
তাতে ভাঙে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে জমে ওঠা ৫৮ রানের জুটি। পরে মোসাদ্দেক রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন ৫১ করে।
আফিফ হোসেন ধ্রুব ১৬ রান করে ফেরেন সাজঘরে। চামিরার বোলিং তাণ্ডবে মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাসকিন আহমেদ আউট হন রানের খাতা খোলার আগেই। শরিফুল ইসলামের ব্যাট থেকে আসে ৮ রান। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন মাহমুদউল্লাহ। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের ফিফটি হারের ব্যবধানই যা একটু কমিয়েছে।
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে হোয়াইটওয়াশের মিশনে নেমে দ্বিতীয় ওভারে বাংলাদেশ হারায় নাঈম শেখকে (১)। লিটনের বদলি হিসেবে নেমে ব্যর্থতার পথেই হাঁটেন বাঁহাতি ওপেনার।
চতুর্থ ওভারে ফিরে যান সাকিব, ৪ রান করে চামিরার বলে ক্যাচ দেন। নাঈমকেও সাজঘরে পাঠান চামিরা। অধিনায়ক তামিম ১৭ রান করে এ পেসারের বলেই উইকেটের পেছনে দেন ক্যাচ।
মুশফিক ও মোসাদ্দেকের চতুর্থ উইকেটে ৫৮ রানের জুটির পরে আর জুটি গড়ে ওঠেনি। ৩৯ বল আগেই স্বাগতিকরা গুটিয়ে যায় ১৮৯ রানে।
শেষ ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেয় শ্রীলঙ্কা। ‘দুই জীবন’ পেয়ে কুশল খেলেন ১২০ রানের ইনিংস। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নেন ৯৯ বলে। শেষ পর্যন্ত ১২২ বলে ১১ চার ও এক ছক্কায় ১২০ রান করে শরিফুল ইসলামের বলে মাহমুদউল্লাহর দুর্দান্ত ক্যাচে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন।
তার আগে দুটি ক্যাচ দিয়ে রক্ষা পান কুশল। ৭৯ রানে সাকিব আল হাসানের বলে মিডঅনে ক্যাচ তুলেছিলেন। ধরতে পারেননি আফিফ হোসেন ধ্রুব। ৯৯ রানে আরেকটি জীবন পান এ লঙ্কান। এবার মিডঅফে ক্যাচ ছাড়েন মাহমুদউল্লাহ।
১ রানে জীবন পাওয়া ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ৫৫ রান করে থাকেন অপরাজিত। ধানুস্কা গুনাথিলাকার ব্যাট থেকে আসে ৩৯ রান।
বাংলাদেশের সফল বোলার তাসকিন আহমেদ। ৯ ওভারে ৪৬ রান খরচায় নিয়েছেন চার উইকেট। শরিফুল ইসলাম নিয়েছেন একটি উইকেট। বাকি সব বোলারই থাকেন উইকেটহীন।