তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে সফরকারী শ্রীলঙ্কাকে ৩৩ রানে পরাজিত করে সিরিজ শুরু করলো বাংলাদেশ। লঙ্কানদের বিপক্ষে এ দুর্দান্ত জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে আইসিসির ওয়ানডে সুপার লিগে চার নম্বরে উঠে গেল বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে তামিম ইকবাল বলেন, হার ভালো লাগার কিছু নয়। আমরা সব সংস্করণ মিলিয়ে ১০ ম্যাচ পর জিতলাম। জেতা সুখের, আনন্দের। ছেলেরা খুবই খুশি। ওরা জানে, কাজ শেষ হয়ে যায়নি। এখনও দুটি ম্যাচ আছে। আশা করি, ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারব।’
এসময় দলীয় পারফরম্যান্স নিয়ে তিনি বলেন, যেভাবে লড়াই করেছি এর জন্য আমরা খুশি। মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। আফিফ চমৎকার ব্যাটিং করেছে, গুরুত্বপূর্ণ ২৭ রান করেছে। এই রানটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা ২৫০ রান করেছি। শুরুতে উইকেট হারানোর পর আমরা এই রানের লক্ষ্য ঠিক করেছিলাম। এখানে ব্যাটিং সহজ ছিল না, উইকেট ছিল দুই গতির। বল ব্যাটে এসেছে দেরিতে।’
এর আগে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল। প্রথম ব্যাট করে ছয় উইকেট হারিয়ে ইনিংস শেষে ২৫৭ রানে পুঁজি পায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন মুশফিকুর রহিম। এছাড়া ৫৪ ও ৫২ রান করে ফেরেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও তামিম ইকবাল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৮.১ ওভারে ২২৪ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
দলীয় ১০২ রানে শ্রীলঙ্কার ষষ্ঠ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের লাগাম নিজেদের হাতে নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু এরপর ক্রমেই লাগাম ঢিলা হয়। লঙ্কান ৮ নম্বর ব্যাটসম্যান ভানিডু হাসারাঙ্গা ক্রিজে গিয়ে ঝড় তোলেন। আর গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে লিটন দাস ক্যাচ ফেললে শঙ্কা জাগে টাইগার শিবিরে। তবে শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত জয় ধরা দেয় বাংলাদেশকেই।
৪৪তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ২১১ রানে হাসারাঙাকে সাজঘরে ফেরান পেসার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। পরের বলেই ইসুরু উদানার উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজুর রহমান। হাঁফ ছাড়ে বাংলাদেশ। সর্বশেষ ১০ ম্যাচের ৯টিতেই হার দেখেছিল বাংলাদেশ। আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এক টেস্টে ড্র।
বল হাতে ১০ ওভারের স্পেলে ৩০ রানে চার উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এতে ওয়ানডেতে ৫০ শিকার পূর্ণ হলো এ টাইগার অফস্পিনারের। ৪৭ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে মিরাজের শিকার ৫১ উইকেট। পেসার মুস্তাফিজুর রহমান তিন ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন নেন দুই উইকেট। ৪৪ রানে এক উইকেট নেন সাকিব আল হাসান।