ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, ২৪ নভেম্বর, ২০১৯ইং, এইউজেডনিউজ২৪: পরমাণু কর্মসূচি বিরোধী প্রচারে চারদিনের সফরে জাপান গেছেন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় গুরু পোপ ফ্রান্সিস। গত ৩৮ বছরের মধ্যে ক্যাথলিকের কোনো প্রধান ধর্ম যাজকের এটাই প্রথম জাপান সফর। এ সফরকালে তিনি আণবিক বোমায় ক্ষতিগ্রস্থ হিরোশিমা ও নাগাসাকি নগরী পরিদর্শন করবেন। আগামীকাল টোকিওতে সম্রাট নার“হিতো এবং প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে পোপ ফ্রান্সিসের।
১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যখন শেষ পর্যায়ে তখন ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমা আর ৯ আগস্ট নাগাসাকিতে বোমারু বিমান থেকে আণবিক বোমা ফেলে যুক্তরাষ্ট্র। মুহূর্তেই তছনছ হয়ে যায় শহর দুটি। ইতিহাসের ভয়াবহতম ওই বোমা হামলায় হিরোশিমায় ১ লাখ ৪০ হাজার এবং নাগাসাকিতে ৭৪ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়। যারা প্রাণে বেঁচে গেছেন তাদের অনেকেই এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন তেজষ্ক্রিয়তার প্রভাব। বেশ কিছুদিন আগেই পরমাণু অস্ত্র-বিরোধী প্রচারে জাপানে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। শনিবার টোকিও বিমানবন্দরে নেমেই তিনি জানান, হিরোশিমা-নাগাসাকি থেকেই চার দিনের জাপান সফর শুরু করতে চান।রবিবার নাগাসাকির মাটিতে দাঁড়িয়ে বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে পোপ বলেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবেই বলতে চাই, পরমাণু অস্ত্রমুক্ত একটি পৃথিবী গড়ে তোলা কেবল সম্ভবই নয়, এটি অপরিহার্যও বটে। রাজনীতিকদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা ভুলে যাবেন না যে, এই ধারার অস্ত্রগুলোই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি।’উল্লেখ্য, এটি হচ্ছে গত ৩৮ বছরের মধ্যে কোনও প্রধান ক্যাথলিক ধর্ম যাজকের প্রথম জাপান সফর। সোমবার তিনি টোকিওতে সম্রাট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন। দেখা করবেন ২০১১ সালের মার্চে উত্তর পূর্ব জাপানে আঘাত হানা ভূমিকম্প ও সুনামি থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া মানুষের সঙ্গে। মঙ্গলবার জাপান ত্যাগের আগে টোকিওর সোফিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বক্তৃতা দেওয়ারও কথা রয়েছে তার।