জানা অজানা ডেস্ক, আজনিউজ২৪: ওজন কমানোর জন্য অনেক চেষ্টা করছেন, অথচ কিছুতেই সফল হচ্ছেন না? শুধুমাত্র পানি খাওয়ার মাধ্যমেই শরীরের বাড়তি মেদের অনেকটাই ঝরিয়ে ফেলতে পারেন। পর্যাপ্ত পানি পান করলে বিপাকীয় হার অনেকটাই বেড়ে যায়, এর ফলে জমে থাকা মেদ ও বাড়তি ক্যালোরি কমানো সম্ভব বলে মত পুষ্টিবিদদের।
আমেরিকার ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউট্রিশন’-এর একদল গবেষক ওজন কমাতে ইচ্ছুক, এমন কিছু নারীদের নিয়ম করে বাড়তি এক লিটার পানি পান করানোর পরামর্শ দেন। খাবারের নিয়মে বিন্দুমাত্র পরিবর্তন না করে, স্রেফ বাড়তি পানি পান করেই তারা ৬ মাসের মধ্যে ২ কেজি ওজন কমাতে পেরেছেন। পুষ্টিবিশেষজ্ঞরা বলছেন, পানি খাওয়ার সাথে যদি হালকা ব্যায়াম করা যায় এবং উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার কম খাওয়া যায় তাহলে ওজন কমবে দ্রুত।
• সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, যে কোনও খাবার খাওয়ার ১৫ মিনিট আগে ৪০০–৫০০ মিলিলিটার পানি খেতে হবে। তাতে বিপাকীয় হার ২৫–৩০ শতাংশ বেড়ে যায়। বিপাকীয় হার বাড়লে এক দিকে মেদ জমা বন্ধ হবে, অন্য দিকে বাড়তি মেদও কিছুটা ঝরবে।
• রোজকার ডাল, ভাত, মাছের মতো পানিও আমাদের শরীরে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। পর্যাপ্ত পানিপান করলে আমাদের বিএমআর অর্থাৎ, বেসাল মেটাবলিক রেট বেড়ে যায়। ফলে দ্রুত ক্যালোরি খরচ হয়। ফলে মেদ জমতে পারে না। উপরন্তু বাড়তি মেদ কিছুটা ঝরে যায়।
• যারা নিয়ম করে গরমকালে ২– ২.৫ লিটার পানিপান করেন, তাদের কোমরের মাপ কিছুটা কমে। ফলে বডি মাস ইন্ডেক্স অর্থাৎ, বিএমআইও কমে যায়। পানিতে কোনও ক্যালোরি থাকে না, কিন্তু পানি পান করলে শরীরের ক্যালোরি খরচ করে পানি শোষিত হয়। তাই বাড়তি মেদ ঝরে।
• একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, যে কোনও খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে যদি ৫০০ মিলিলিটার পানি পান করা যায়, তা হলে ১২ সপ্তাহের মধ্যে ২ কেজি মেদ ঝরে যাবে।
• সকালে উঠে খালি পেটে পানি পান করলে, খাবারের চাহিদা ১৩ শতাংশ কমে যায়। তবে এই নিয়ম মাঝবয়সীদের জন্যে প্রযোজ্য। অল্প বয়সে শুধুমাত্র পানিপান করে ওজন কমানো মুশকিল। তাদের খাবারের চাহিদা খুব একটা কমে না।
• যারা ঘন ঘন চা-কফি বা শরবত খান, তাদেরও ওজন বাড়ার ঝুঁকি থাকে।
তো ওজন কমাতে আজকেই শুরু করে দেন ওয়াটার থেরাপি। ফল মিলবে একেবারে হাতেনাতে।