ইকোনোমিক ডেস্ক, আজনিউজ২৪: আগামী নতুন বছর দেশের অর্থনীতি আরও ভালো হবে বলে প্রত্যাশা করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) অর্থনৈতিকবিষয়ক এবং ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ কথা জানান। এ সময় তিনি বলেন, ২০২০ সালে সারাবিশ্ব করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো জিডিপিবিষয়ক পূর্বাভাসও দিয়েছে, যেখানে মহামারি সত্ত্বেও ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে করোনা যেহেতু এখনো শেষ হয়নি সেহেতু অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে নিতে সব প্রকার সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে সরকার। এদিকে ক্রয় কমিটির এ সভায় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্তও হয়। যেখানে প্রতি কেজি খরচ পড়বে ৩৩ টাকা ৭২ পয়সা। ৫০ হাজার টন চাল কিনতে খরচ হবে ১৬৮ কোটি টাকা।
গত রোববার (২৭ ডিসেম্বর) খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বাজার নিয়ন্ত্রণে চাল আমদানির ঘোষণা দেন। এতে কৃষকরা লোকসানে পড়বেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক সে সময় বলেন, বর্তমানে চালের তেমন কোনো ঘাটতি নেই, তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী, মিল মালিকরা কারসাজি করছে। এ কারণে বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়াতে মোট ৬ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন করবে সরকার। এর বেশি নয়, এতে কৃষকদের ধানের দাম কম পাওয়ার আশঙ্কাও নেই বলে বলেছিলেন কৃষিমন্ত্রী।
তার মতে, আমন মৌসুমে কৃষকরা ধানের ভালো দাম পেয়েছে, মনপ্রতি ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত। চলতি বছর বোরো মৌসুমে ধানের দাম ৬০০ টাকারও নিচে আসতে দেখা যায়। কৃষকরা এতে ব্যাপক ক্ষোভও প্রকাশ করেন। ২০১৭ সালের পর অনিয়ন্ত্রিত চাল আমদানির জেরে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে জানান কৃষি বিশেষজ্ঞরাও। এ কারণে বর্তমানে যাতে প্রয়োজনের বেশি চাল আমদানি না হয় সেক্ষেত্রে নজর রাখতে পরামর্শ দেন তারা। সূত্র : সময় টিভি