পটুয়াখালী প্রতিনিধি, আজনিউজ২৪: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চাঁদার টাকা না দেয়ায় বিসমিল্লাহ ব্রিকফিল্ডের মালিক মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম হাওলাদারকে (৬৪) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় রবিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে টিয়াখালী ইউনিয়নের আলোচিত চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা ভাইয়া বাহিনীর প্রধান সৈয়দ মশিউর রহমান শিমু ও তার স্ত্রী খাদিজা আক্তার এলিজাসহ পাঁচজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আহত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী আকলিমা বেগম বাদী হয়ে মশিউর রহমানকে প্রধান আসামি করে রাতেই মামলা দায়ের করলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটককৃতদের সোমবার সকালে আদালতে পাঠিয়েছে কলাপাড়া থানা পুলিশ।আহত মুক্তিযোদ্ধা শাহআলমের বাড়ি চাকামইয়া ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামে।
আহতের পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় এক লক্ষ টাকা চাদার দাবীতে চাকামইয়া ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের বিসমিল্লাহ ব্রিক ফিল্ডের কার্যালয় মুক্তিযোদ্ধা শাহআলম হাওলাদারের ওপর বর্বর এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা বৃদ্ধ শাহ-আলমকে শঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।
সন্ত্রাসী হামলার শিকার মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সিদ্দিকুর রহমান জানান, টিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান শিমু বাহিনীর সন্ত্রাসীরা তার বাবার কাছে চাঁদা চেয়েছিল। চাঁদার টাকা না দেয়ায় স্থানীয় জহিরুল, সবুজ, খলিল, রুবেলসহ ১৫-২০ সশস্ত্র সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্রের উপর্যুপরি কোপে জখম করা হয়েছে।
চাকামইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ুন কবির কেরামত হাওলাদার দাবি করেন, চেয়ারম্যান শিমু মীরার ভাইয়া বাহিনী শান্ত চাকামইয়া ইউনিয়নকে অশান্ত করে দিয়েছে। শিমুর স্ত্রী বিএনপি নেত্রী এলিজার রয়েছে নিজস্ব আরও একাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী।
এদিকে মশিউর রহমান শিমুর মুক্তির দাবিতে তার অনুসারিরা সোমবার সকালে কলাপাড়া পৌরশহরে মিছিল করেছে।
কলাপাড়া থানার ওসি খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, খবর শোনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। রাতেই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।