রাজশাহী প্রতিনিধি,আজনিউজ২৪: পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রত্যেক দেশের সরকারই তাদের স্বার্থ আগে দেখে। দায়িত্ব গ্রহণের পর আমেরিকার নতুন সরকারও সেটি করবে। ফলে তাদের নিজেদের গরজে এবং ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বের কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং তারা নতুন নতুন ক্ষেত্রে বিনিযোগ করবে।
শনিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ শামসুজ্জোহার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অত্যন্ত পরিপক্ব রাজনীতিবিদ উল্লেখ করে ড. আব্দুল মোমেন বলেন, তার সঙ্গে এর আগেও আমরা কাজ করেছি। তিনি আমেরিকার দায়িত্ব গ্রহণ করলে তার সঙ্গে আমাদের অনেক কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে বলেই আমরা মনে করছি।
তিনি বলেন, আমেরিকার নতুন সরকার মানবাধিকার ও জলবায়ু নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। আমেরিকার সব সময় মানবাধিকারকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এছাড়াও বাইডেন সরকার ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, তারা জলবায়ু নিয়ে কাজ করবেন। আমরা আশা করছি, বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার পর বিশ্বে কোনো ধরনের যুদ্ধ বা ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম হবে না। ব্যবসা বাণিজ্যসহ সব ধরনের কার্যক্রমে বাইডেন বাংলাদেশকে সহায়তা করবে।
মিয়ানমার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মিয়ানমারের নতুন সরকার নিয়ে আমরা আশাবাদী। সু চির নেতৃত্বাধীন মিয়ানমারের নতুন সরকার রোহিঙ্গা নিয়ে বদনাম ঘোচাতে তাদের লোক বাংলাদেশ থেকে ফেরত নেবে। একই সঙ্গে পৃথিবীর অন্যান্য দেশ এ ব্যাপারে সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন, সুচি আবার দায়িত্ব নেওয়ায় তার সঙ্গে আমরা আবার আলোচনা করতে পারবো। আমরা আশা করছি, বিশ্বের অনেক দেশ রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন বিষয়ে আমাদের সহায়তা করবে।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার সফরসঙ্গী ছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান, প্রো-ভিসি চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া, প্রক্টর প্রফেসর লুৎফর রহমানসহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সূ্ত্র: ইনকিলাব