ইন্টারন্যানাল ডেস্ক, আজনিউজ২৪: আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর সমর্থক ভোটারদের কাছে হুমকি দিয়ে ইমেইল পাঠাচ্ছে ইরান বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। সংস্থার পরিচালক জন র্যাটক্লিফ বলেছেন, ইমেইলগুলো কট্টরপন্থি ট্রাম্প সমর্থক একটি গ্রুপের কাছ থেকে পাঠানো হয়েছে বলে দেখানো হয়েছে। ‘অস্থিরতা উসকে দেওয়ার’ উদ্দেশ্যেই ঐ ইমেইলগুলো পাঠানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
র্যাটক্লিফ আরো বলেছেন, ‘রাশিয়াও ভোটারদের কিছু তথ্য’ হাতে পেয়েছে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানতে পেরেছেন। এই তথ্য হাতে নিয়ে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে তারা। গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে এই ঘোষণা এলো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র ১৩ দিন আগে। মার্কিন নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে বিভিন্ন বিদেশি সংস্থা ভোটগ্রহণে হস্তক্ষেপ এবং নির্বাচনকে ঘিরে ভুয়া তথ্য ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষের। তাই ভোটগ্রহণের আগে গোয়েন্দা সংস্থার এই অস্বাভাবিক সংবাদ সম্মেলনকে মার্কিন সরকারের ঐ আশঙ্কার পক্ষে সমর্থন হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
র্যাটক্লিফ বলেছেন, ইরান যে ‘স্পুফ ইমেইলগুলো’ পাঠিয়েছে, সেগুলো ট্রাম্পের কট্টরপন্থি সমর্থক গ্রুপ ‘প্রাউড বয়েজ’ এর নাম ব্যবহার করে ভোটারদের ‘ভয় দেখাতে, বিশৃঙ্খলা উসকে দিতে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সুনাম ক্ষুণ্ন করতে’ পাঠানো হয়েছে। ভোটারদের তথ্য কীভাবে ফাঁস হচ্ছে অথবা রাশিয়ার কর্মকর্তারা ঐ তথ্য নিয়ে কী করছে—সে বিষয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বিস্তারিত জানাননি।
এর আগে ২০১৬’র নির্বাচনের সময়ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানিয়েছিল যে ক্রেমলিন সমর্থিত হ্যাকাররা সাইবার হামলা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া তথ্য ছড়ানোর মাধ্যমে হিলারি ক্লিনটনের নির্বাচনি প্রচারণা ব্যাহত করার চেষ্টা করেছিল। ইরান এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সিস্টেম সফলভাবে হ্যাক করতে পারেনি। সম্প্রতি পাঠানো সন্দেহজনক ইমেইলগুলো একাধিক রাজ্যের ডেমোক্র্যাট ভোটারদের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেসব মেইলে তাদের ট্রাম্পকে ভোট দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
মেইলে হুমকি দেওয়া হয়েছে: ‘আপনি ভোটের দিন ট্রাম্পকে ভোট দেবেন, অন্যথায় আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব। আপনার সমর্থন পরিবর্তন করে রিপাবলিকানদের সমর্থন করুন যেন আমরা জানতে পারি যে আপনি আমাদের মেসেজ পেয়েছেন।’—বিবিসি