আইন ও আদালত ডেস্ক, আজনিউজ২৪: গ্রাহকের অজান্তে ফোন কল রেকর্ড, কললিস্ট সংগ্রহের মতো অসাংবিধানিক চর্চা বন্ধ হওয়া দরকার বলে মত দিয়েছেন সিনিয়র আইনজীবী ও সাংবাদিকরা।
যেকোন মাধ্যম ব্যবহার করে ব্যক্তিগত কিংবা অন্য যোগাযোগে গোপনীয়তা রক্ষা সারা বিশ্বে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। বাংলাদেশও ব্যতিক্রময় নয়। কিন্তু হরহামেশাই লঙ্ঘন হয় তার। সামাজিক যোগোযোগ কিংবা মূলধারার গণমাধ্যমেও প্রায়ই ফাঁস হওয়া ফোনালাপ প্রচার বা প্রকাশ হয়।
সম্প্রতি উচ্চ আদালতের সদ্য প্রকাশিত একটি রায়ের অভিমত হিসেবে বিচারকরা বলেছেন, এভাবে ফোনালাপ প্রকাশ হতে পারে না। আদালতের অনুমতি ছাড়া গ্রাহকের অজান্তে কথোকপকথন সংগ্রহ ও প্রচার সংবিধান পরিপন্থী- এটি বিটিআরসি ও মোবাইল অপারেটরদের মনে করিয়ে দিয়েছেন হাইকোর্টের তিন বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ।
বিচারকরা বলেছেন, সংবিধানের ৪৩ নম্বর অনুচ্ছেদে নাগরিকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। এটি যেন লঙ্ঘিত না হয় সে ব্যাপারে বিটিআরসি ও মোবাইল অপারেটরদের সতর্ক হতে বলেছেন আদালত।
আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বিচারকদের এই অভিমতকে দেখছেন গুরুত্বের সাথেই। তারা বলছেন, বেশকিছুদিন ধরেই বিভিন্ন মাধ্যমে ফোনালাপ ফাঁসের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে-তা বন্ধে সহায়ক হবে বিচারকদের এই পর্যবেক্ষণ।
ফোনে আড়িপাতাকে ব্যক্তির গোপনীয়তায় রীতিমত আগ্রাসন হিসেবে উল্লেখ করেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। দেশেও ফোনালাপ ফাঁসে যে কেউ অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে মনে করলে আদালতের শরণাপন্ন হতে পারেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না, ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নিজামুল হকের ফোনালাপ ফাঁস দেশে ব্যাপক আলোচনা জন্ম দেয়। সূত্র : চ্যানেল টোয়েন্টি ফোর