কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, আজনিউজ২৪: আবারও নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে কুড়িগ্রামের ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তিন দফা বন্যার তাণ্ডব থামতে না থামতে এখানকার বিদ্যালয়গুলো রক্ষায় এখনও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এতে সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর লেখাপড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
তৃতীয় দফা বন্যার পানি কমার সাথে সাথে ধরলার ভাঙনের কবলে পড়েছে ফুলবাড়ী উপজেলার মেখলিরচর খন্দকারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন। এর অর্ধেক অংশ ভেঙে এখন নদীতে।
পাশাপাশি তিস্তার ভাঙনের কবলে পড়েছে রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয় ভবন নিলামে বিক্রির চেষ্টা করা হলেও ক্রেতা পাওয়া যায়নি। আর ধরলার ভাঙনের কবলে পড়েছে সদর উপজেলার চর কৃষ্ণপুর, সারডোব ও নন্দদুলালের ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
চর কৃষ্ণপুরের বিদ্যালয় ভবন ৩৩ হাজার ৪০ টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। আর নন্দদুলালের ভিটা বিদ্যালয়ের চর প্যাটার্ন টিন শেড ঘর অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে লেখাপড়া নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা।
ভাঙন ঠেকানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে জানান কুড়িগ্রাম রাজারহাট বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তাইজুল ইসলাম। এদিকে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া অব্যাহত রাখার জন্য টিন শেড ঘর নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানালেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম।
জেলায় ১ হাজার ২৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে চলতি মৌসুমে ১০টি নদী গর্ভে বিলীন এবং ৫টি ভাঙনের কবলে পড়েছে।