আইন ও আদালত ডেস্ক, এইউজেডনিউজ২৪: পুলিশ মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেলেন ধর্ষণ মামলায় আটক ভিপি নূর। এর আগে, সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীসহ আটক করা হয় অন্তত ৭ জনকে। তাদের রমনা থানায় নেয়া হয়েছে। রাতে ধর্ষণ মামলার প্রতিবাদে রাজধানীর মৎস ভবন মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে, সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের। এতে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ হয়। এসময় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহতে হয়েছেন। এর আগে রাজধানীর লালবাগ থানায়, বাদী হয়ে মামলাটি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী।
ডাকসু’র সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ও সোহরাব হোসেনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বললেও ঢাকা মেডিকেলে তাদেরকে ডিবি প্রহরায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এর আগে, রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, নুরসহ দুইজনকে ডিবি পুলিশের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন। আরেক জনের নাম সোহরাব হোসেন। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।
সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর করা ধর্ষণ মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের সময় রাজধানীর শাহবাগ থেকে নুরসহ ৭ জনকে আটক করে পুলিশ। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালে তাদের আটক করা হয়। আটকের পর তাদের মিন্টোরোডে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় এ মামলাটি করেন। মামলায় মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ধর্ষণে সহযোগী হিসেবে নুরুল হক নুরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মৎসভবন মোড়ে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে এমন সংঘর্ষ চলে পুলিশ ও সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মীদের মধ্যে।
পুলিশের লাঠি চার্জের বিপরীতে নূরুর সহযোগিতা প্রতিবাদ গড়তে চাইলেও, টিকতে পারেনি বেশিক্ষণ। সংঘর্ষের রেশ গড়ায় দুদক কার্যালয়ের সামনে পর্যন্ত। সেখানেও লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। তার আগেই ভিপি নূরু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীসহ আটক করা হয় অন্তত ৭ জনকে। তাদের নেয়া হয় রমনা থানায়।
ঘটনার শুরু টিএসসি মোড়ে। ভিপি নূরুল হক নূরুসহ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের ৫ সদস্যের বিরুদ্ধে রাজধানীর লালবাগ থানায় ধর্ষন মামলা দায়েরের বিরুদ্ধে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে তারা। সেখানে নূরু অভিযোগ করেন, সম্প্রতি রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দেয়ায় সরকারের নির্দেশে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে।
সেখান থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। লাঠি চার্জ না করার অনুরোধ জানিয়ে শাহবাগেই মিছিল করে নূরু ও তার সহযোগীরা। কিন্তু, অন্তক শ খানেক সঙ্গী নিয়ে তারা শাহবাগ থেকে মৎসভবনের দিকে অগ্রসর হলে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। পরে পুলিশের দাবি তারা জঙ্গি মিছিল করেছে।
রাজধানীর লালবাগ থানায় দায়ের করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মামলার মূল অভিযুক্ত ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন। আর নুরের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগ। অন্য আসামিরা হলেন, নাজমুল হাসান সোহাগ, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা ও আবদুল্লাহ হিল বাকি। সূত্র: চ্যানেল টোয়েন্টি ফোর ও সময় টিভি