বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক, এইউজেডনিউজ২৪: পুরো Da Nong শহরে Wi-Fi নেটওয়ার্ক কাভারেজ : ২০১৪ সালে আমি একটি সরকারী কাজে ভিয়েতনামে গিয়েছিলাম। হ্যানয় তে কাজ সেরে একটি বিচ সিটি Da Nong তে বেড়াতে গেছি। সমুদ্র বেস্টিত সুন্দর শহর Da Nong। শহরের পুরোটাই Wi-Fi করা । কাছাকাছি সময় আমি দেশে PATC তে একটি প্রশিক্ষণে গিয়ে অবাক হলাম। প্রায় প্রতিদিন WIFI এর পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করা হয়। কারন হিসেবে অদ্ভূত জবাব পেলাম। জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা দেয়ালের পাশে এসে নেট ব্যবহার করে। ছাত্ররা যেন নেট ব্যবহার করতে না পারে সে জন্যই এই ব্যবস্থা।
আজ অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।
উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে আইটি গ্রাজুয়েটদের নিয়ে এই সেক্টরের প্রথম শ্রেণীর পদ ৯ম গ্রেড ও ৬ষ্ট গ্রেডের সহকারী প্রোগ্রামার এবং প্রোগ্রামার দিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর আগামী ৫০ বছর বাংলাদেশকে আলোর পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের নিমিত্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সরকার এ খাতকে বিশেষ গুরুত্বারোপ করে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সর্বব্যাপী প্রয়োগ ও ব্যবহারে কারিগরি সহায়তা নিশ্চিতকরণ; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুবিধা সমূহ প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছানো, অবকাঠামো নিরাপত্তা বিধান; রক্ষণাবেক্ষণ; বাস্তবায়ন; সম্প্রসারণ মান নিয়ন্ত্রণ ও কম্পিউটার পেশাজীবীদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ই-সার্ভিস প্রদান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৩১ জুলাই, ২০১৩ তারিখে ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর’ গঠন করা হয়।এর কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৪ সালের জানুয়রিতে।
আপাতত আইসিটি টাওয়ারের ১০ম তলায় অনিন্দ সুন্দর সাজানো এই অধিদপ্তরের অফিস চলছে। এই অফিসে ঢুকলেই যে কারোরেই মন ভালো হয়ে যাবে। পাবলিক অফিসতো এরকমই হবার কথা। তবে রাজউক থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের অনুকূলে পূর্বাচলে ৩ বিঘার কিছু বেশী জমি বরাদ্দ পাওয়া গেছে । শিকগিরই উক্ত জমিতে আইসিটি একাডেমী, ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার, অধিদপ্তরের নিজস্ব অফিস স্থাপনের জন্য অত্যাধুনিক ভবন তৈরীর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ভিশন:
জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার।
মিশন:
তথ্য প্রযুক্তি খাতের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে অবকাঠামো উন্নয়ন, দক্ষ মানব সম্পদ গঠন, শোভন কাজ সৃজন এবং ই-সার্ভিস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠা।
আইসিটি অধিদপ্তর যে সব কাজ করে এবং যেগুলোর ম্যান্ডেট রয়েছে :
* সরকারের সকল পর্যায়ে আইসিটি’র ব্যবহার ও প্রয়োগ নিশ্চিতকরণ ও সমন্বয় সাধন।
• মাঠ পর্যায়ে সকল দপ্তরে আইসিটি’র উপযুক্ত অবকাঠামো সৃষ্টিতে সহায়তা প্রদান, রক্ষণাবেক্ষণ এবং সাপোর্ট প্রদান।
• সকল পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির কারিগরী ও বিশেষায়িত জ্ঞান হস্তান্তর।
• নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
• আইসিটি যন্ত্রপাতির চাহিদা, সফটওয়ার, কানেক্টিভিটির মান ও ইন্টারঅপারেটিবিলিটি নিশ্চিতকরণ।
• সকল পর্যায়ে আধুনিক প্রযুক্তি আত্মীকরণে গবেষণা, উন্নয়ন ও সহায়তা প্রদান।
• তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যবসা উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা ও চ্যালেঞ্জ সনাক্তকরনের মাধ্যমে এই খাতে ব্যবসা উন্নয়নে সহায়তা করণ।
• আইসিটি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরী ও উন্নয়ন।
জেলা উপজেলা ও হেড অফিসের ১৮৬৮ জনের এক বিরাট কর্মী বাহিনী নিয়ে এই অধিদপ্তরকে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সরকারের অতিরিক্ত সচিব এবং মহাপরিচালক জনাব এ.বি.এম. আরশাদ হোসেন।
জনাব আরশাদ ১৯৬২ সালে উত্তরের জনপদ রংপুর জেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রয়াত আজিজুর রহমান তৃতীয় সন্তান। তাঁর সহধর্মিণী মোছাঃ আনোয়ারা পারভিন একজন শান্তিপ্রিয় গৃহিণী এবং একমাত্র পুত্র আশফাক জাহিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। রংপুর জিলা স্কুল ও কারমাইকেল কলেজের তুখোর ছাত্র জনাব আরশাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কৃতিত্বের সাথে বি.কম (সম্মান) এবং এম.কম ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ঐতিহ্যবাহী সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন।
অমায়িক অতি ভদ্র এই মানুষটি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১৯৮৫ ব্যাচের একজন কর্মকর্তা। ১৯৮৮ সালের ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখে খুলনা বিভাগে সহকারী কমিশনার পদে যোগদানের মাধ্যমে তিনি সরকারী চাকুরি জীবন শুরু করেন। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে বর্তমান কর্মস্থল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরে ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে তিনি মহাপরিচালক পদে যোগদান করে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।
দেশ বিদেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ জনাব এ.বি.এম. আরশাদ হোসেন যে কোর কর্মীদের নিয়ে কাজ করেন তাদের মধ্যে সনামধন্য ১৩ ব্যাচের চৌকশ অফিসার সরকারের যুগ্ম সচিব জনাব মো: রেজাউল মাকসুদ জাহেদী অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে কাজ করছেন। ইউকে এবং চায়নাতে উচ্চ শিক্ষা নেয়া প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট এ দক্ষ এই কর্মকর্তা ২০১৬ সাল থেকে এই অধিদপ্তরকে নিষ্ঠার সাথে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আরও আছেন আইটি ব্যাক্তিত্ব জনাব মো: লুৎফুর রহমান, অশেষ ধৈর্যের অধিকারী শান্ত শিষ্ট কর্মকর্তা মো: ফিরোজ সরকার, তরিৎ গতি সম্পন্ন আমিরুল ইসলাম ও প্রত্যুৎপন্নমতি ড. ভেনিসা রড্রিক্স প্রমুখ।
মানব সম্পদ উন্নয়ন ও ই-গর্ভন্যান্স প্রতিষ্ঠায় সহায়তা:
সরকারী সকল দপ্তরে বিশেষ করে মাঠ প্রশাসনে ই-গর্ভন্যান্স প্রতিষ্ঠায় কারিগরী সহায়তা, সকল সরকারী অফিসে ই-ফাইলিং চালু করার জন্য সক্ষমতা তৈরী করা ও জাতীয় তথ্য বাতায়ন হালনাগাদকরাসহ নতুন নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা প্রদানের জন্য প্রতিবছর প্রায় ১০,০০০ জনের বেশী কর্মকর্তা / কর্মচারীকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। সরকারি দাপ্তরিক কাজকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য সরকার ই-ফাইলিং ব্যবস্থা চালু করেছে। মাঠ পর্যায়ে ই-ফাইলিংসহ অন্যান্য ই-সার্ভিস চালুর লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক্সেস টু ইনফরমেশন (A2I) প্রকল্পের সাথে গত ১৪/০১/২০১৬ তারিখে এ অধিদপ্তরের একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেলক্ষ্যে এক্সেস টু ইনফরমেশন (A2I) প্রকল্পের সাথে এ অধিদপ্তর যৌথভাবে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। প্রশিক্ষিত কর্মকর্তাগণ ইতোমধ্যে তাদের কার্যালয়ে ই-ফাইলিং কার্যক্রম শুরু করেছেন।
সরকারি দাপ্তরিক কাজকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য সরকার ই-ফাইলিং ব্যবস্থা চালু করেছে।
She Power প্রজেক্ট যে কোন বিচারে বাংলাদেশের জন্য একটি মাইল ফলক। দেশে জনসংখ্যার অর্ধেক নারী বিধায় এই প্রকল্পটি গোটা দেশে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে তরুণীদের মাঝে। প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন প্রকল্পটি প্রাথমিক ভাবে ২১টি বৃহত্তর জেলার ২১টি সদর উপজেলায় নেয়া হয়। আইসিটি ইকোসিস্টেমে নারীদের অংশগ্রহণ, আইসিটিকে ব্যবহার করে নারীদের দক্ষতা কিংবা সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আইসিটি সেক্টরে নারীর অংশগ্রহণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করা এর লক্ষ্য। She Power প্রজেক্টের আরো উদ্দেশ্য হলো নারী উদ্দ্যোক্তা তৈরী এবং আইসিটির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়িত হওয়ার প্রক্রিয়াকে টেকসই করা। Freelancer to Entrepreneur, IT Service Provider, Women Call Centre Agent এ তিনটি ক্যাটাগরিতে ১০,৫০০ জন নারীর প্রশিক্ষণ এবং ইন্টার্ণশীপ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
সফল এই প্রকল্পের একই মডেলের প্রকল্প বাকী ৪৩ জেলায় শুরু করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী ডিপিপি প্রস্তুত করণের কার্য ক্রম চলমান।
আইটি শিক্ষার জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ এর আরেক নাম শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব : সারা দেশে সাড়াজাগানো আইসিটি অধিদপ্তরের সফল একটি প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় “সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ও ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাব স্থাপন” প্রকল্পে ১১টি কম্পিউটার ও একটি ডিসপ্লে এর সমন্বয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষায়িত শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব (কম্পিউটার ল্যাব), ডিজিটাল ক্লাসরুম ও ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে ল্যাবসমূহকে স্থানীয় সাইবার সেন্টার হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। মাল্টিমিডিয়া শিক্ষাকে উৎসাহিত করা এবং আইটি এনাবলড ভাষা প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করাই এর লক্ষ্য। ইতোমধ্যে ৪১৭৬ টি ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে । তৈরীকৃত আন্তর্জাতিক মানের ভাষাগুরু সফটওয়্যার এর উপর ১০২৪ জনের ৮টি ব্যাচে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। ৫৮০২ জন শিক্ষককে CRI কর্তৃক জেলা ভিত্তিক ০১ দিনের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং ৮৭০৩ জন শিক্ষককে Basic ICT in Education Literacy, Troubleshooting and Maintenance বিষয়ে পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস / তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস : টেকসই ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে আইসিটি’র সর্বোত্তম ব্যবহার ও প্রয়োগ নিশ্চিতকরণ, প্রযুক্তিগত অবকাঠামো নির্মাণসহ নির্ভরযোগ্য কানেক্টিভিটি প্রতিষ্ঠা, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অর্জন, SDG ও জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে এ খাতের অবদান এবং বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের সারিতে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এর গুরুত্ব জনগণের মাঝে তুলে ধরার নিমিত্ত দেশব্যাপি ১২ ডিসেম্বর দিবসটি পালন করা হয়। অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত করার লক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বর্নাঢ্য সোভাযাত্রা , উম্মুক্ত চিত্রাংকন, রচনা প্রতিয়োগিতা ও আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। এতে তরুণ ও যুবাদের উৎফুল্ল অংশগ্রহন দেখার মতো।
বিপিও সামিটি বাংলাদেশ : আইসিটি বিভাগের মূল আয়োজনে বাস্তবায়নকারী সংস্থা আইসিটি অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব কল সেন্টার এন্ড আউটসোর্সিং -BACCO এর যৌথ উদ্যোগে সামিটটি আয়োজন করা হয়। Business Process Outsourcing-BPO কে উন্নয়নের মূলধারায় নিয়ে আসা, সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার শিল্পের বিকাশ, দেশের তরুণ ও তরুণীদের এই খাতে আগ্রহী করে তোলা, কর্মসংস্থানের উদ্যোগ ও কর্ম সৃষ্টি এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে দেশের BPO সেক্টরের অবস্থান কে তুলে ধরা ছিল উক্ত সম্মেলনের প্রধান লক্ষ্য। প্রতি বছর এই সামিট ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ সামিটি বাংলাদেশ ২০১৯ গত ২১-২২ এপ্রিল, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল, ঢাকাতে আয়োজন করা হয়। # Transforming Services To Digital এই আপ্ত বাক্যটি ছিল এবারের প্রতিপাদ্য।
জাতীয় ইন্টারনেট সপ্তাহ : বর্তমান সরকারের রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এবং বেসিস এর যৌথ উদ্যোগে জাতীয় ইন্টারনেট সপ্তাহ পালন করা হয়। দেশ ব্যাপী ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাবৃদ্ধি করণ এবং ইন্টারনেট বিষয়বস্তু, পণ্য এবং সেবা উন্নীতকরণই ছিল উল্লিখিত অনুষ্ঠানের প্রধান লক্ষ্য। জাতীয় ও জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে প্রতিবছর এই মেলার আয়োজন করা হয়। এতে তরুণদের উপচে পড়া ভীর আমাদেরকে আগ্রহান্বিত করে।
জাতীয় উন্নয়ন মেলা: প্রতিবছর দেশে যে উন্নয়ন মেলা হয় তাতে আইসিটি বিভাগ ও এর অধীনস্থ সংস্থাসমূহ কর্তৃক বাস্তবায়িত উন্নয়ন প্রকল্পের চিত্র জনগণের নিকট তুলে ধরতে একযোগে উক্ত মেলায় অংশগ্রহণ করা হয়। মেলায় বিভিন্ন সরকারি ও নাগরিক সেবায় উদ্ভাবন ও ডিজিটাইজেশন বিষয়ক তথ্যাদি ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সরকারের ২০২১ সালের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কার্যক্রম আগত দর্শণার্থীদের সামনে তুলে ধরা হয়।
আন্তর্জাতিক ইভেন্ট গুলোর মধ্যে আছে Women ICT Frontier Initiative (WIFI), জাতি সংঘের এসকাপের আওতাধীন United Nations-Asian and Asia-Pacific Information Superhighway (APIS) স্টিয়ারিং কমিটির সভা ও বাংলাদেশ, আইসিটি অস্কার খ্যাত অ্যাপিকটা পুরস্কার- ২০১৭ সহ আরও অনেক আর্ন্তজাতিক সভা সেমিনার আয়োজন ও অংশগ্রহন করে থাকে এই অধিদপ্তর।
“সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহল গুলোতে আইসিটি প্রশিক্ষণ” কর্মসূচি : ১১১টি সদ্য বিলুপ্ত ছিট মহলে ডিজিটাল বর্তিকা প্রজ্জ্বলনের জন্য বেশ কিছু প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আইসিটির ব্যবহারিক বিষয়ের উপর হাতে কলমে শিক্ষা সহ যুব সমাজের কর্মসংস্থান সৃষ্টির নিমিত্ত ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং এর জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া স্থায়ী ভাবে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের জন্য পঞ্চগড় সদর উপজেলায় মফিজার রহমান কলেজ মাঠ সংলগ্নস্থানে একটি এবং কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলায় দাসিয়ারছড়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ সংলগ্ন স্থানে একটি সহ মোট দুইটি স্থানে অত্যাধুনিক আইসিটি যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ Digital Service Employment & Training Center (D-SET) স্থাপনের কার্যক্রম চলমান। সম্পূর্ণ জনপদ ই-গভর্ন্যান্স এর আওতায় আনয়নে কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে। সরকারী সকল ই সিটিজেন সার্ভিস ব্যবহারের সক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রম নেয়া হয়েছে।
আমার গ্রাম, আমার শহর
তরুণ যুবসমাজ : ‘তারুণ্যের শক্তি – বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’
সব স্তরে মানসম্মত শিক্ষা
ডিজিটাল বাংলাদেশ
সরকারের নির্বাচনী ইসতেহারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের মূল ভার পড়েছে আইসিটি অধিদপ্তরের। সেভাবেই পরিকল্পনা মাফিক এগিয়ে চলছে এর কার্যক্রম। করোনা কালে এই অধিদপ্তরের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ৫০ লক্ষ গরীব ক্ষতিগ্রস্ত লোকের ডাটাবেজ তৈরী করে অর্থমন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে নগদ ২৫০০ টাকা করে প্রদান করার কার্যক্রম চলমান। এছাড়াও সারা দেশে ৪ লক্ষ ২৩ হাজার পরিবহন শ্রমিকদের তালিকা করা হচ্ছে যাদেরকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী নগদ টাকা প্রদান করা হবে। যেকোন শ্রমিক সংগঠনের পরিচয পত্র থাকলেই সে এই তালিকায় ঢুকতে পারবে। আশা করা যায় অল্পদিনের মধ্যে সকলের প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর আইটি শিক্ষিত জাতি তৈরীতে সফল অবদান রাখবে। জাগো বাহে কোনঠে সবাই।
আগামী পর্বে : বহুল আশা জাগানিয়া হাই টেক পার্ক ।
মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান
যুগ্ম সচিব
আইসিটি মন্ত্রণালয়
আইসিটি ভবন
আগারগাঁও ঢাকা।