বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক, এইউজেডনিউজ২৪: সজীব ওয়াজেদ জয় একজন বাংলাদেশী আইসিটি পরামর্শক এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। জয় ২৭ জুলাই ১৯৭১ সালে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে জন্ম নেন। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তনয় এবং বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্র্রপতি ও হাজার বছরের শেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের “ভিশন ২০২১” ইশতেহার প্রণয়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন।
তাঁর বাবা এম এ ওয়াজেদ মিয়া, একজন খ্যাতনামা পরমাণুবিজ্ঞানী । তিনি ঐতিহ্যবাহী উত্তর জনপদ রংপুরের মানুষ। আমি নিজেও এজন্য গর্ববোধ করি। ১৯৭৫ সালে তার নানা শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হওয়ার পরে, জয় মায়ের সাথে জার্মানি এবং লন্ডন হয়ে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। ফলে তার শৈশব এবং কৈশোর কেটেছে ভারতে। নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়া করে যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস এ্যট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক শেষ করেন। পরবর্তীতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক-প্রশাসন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে তিনি ২০০৭ সালে ডেভোসে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক বিশ্বের ২৫০ জন তরুণ বিশ্ব নেতৃত্বের মধ্যে একজন হিসেবে নির্বাচিত হন।
২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি, জয়কে পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ দেয়া হয়। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ ২০১৯ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর অবৈতনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত আছেন। এর আগেও আওয়ামীলীগের বিগত মেয়াদের সরকারে ২০১৪ সালেও প্রধানমন্ত্রীর অবৈতনিক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বিবাহিত, সোফিয়া ওয়াজেদ নামে তার একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
রংপুরের গর্ব এম এ ওয়াজেদ মিয়া একজন খ্যাতনামা পরমাণুবিজ্ঞানীই ছিলেন না তিনি একজন অত্যন্ত উচু মনের মানুষ ছিলেন। আমার প্রথম পোস্টিং ছিল সাতক্ষীরা সে সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বামী খুবই সাদামাটা ভাবে সাতক্ষীরা সফর করেন। আমি তাকে খুলনা থেকে রিসিভ করে একই গাড়ীতে করে সাতক্ষীরা নিয়ে আসি। প্রথমেই আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেন তুমি রংপুরের ছেলে? এর পর গাড়ীতে বসে সে অনেক কথা। একজন প্রবেশন অফিসারের কাছে কি যে ভালো লেগেছিল। আজো মনে লেগে আছে। সার্কিট হাউজে রাতের খাবার আয়োজন করা হচিছল। ঢাকা থেকে বলা হয়েছে উনি শুধু মাছ খাবেন।সাতক্ষীরার বিখ্যাত ৬ জাতীয় মাছের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এনডিসি ছিলেন নবম ব্যাচের জনাব মোস্তা গাউসুল হক অনেক ভালো মানুষ অনেক ভালো অফিসার যাকে বলা হয় চৌকশ অফিসার। তাঁকে বললাম স্যার যদি কিছু মনে না করেন মেনুতে মায়া মাছটা রাখেন। আমি বললাম ফরমুলা হলো যত বড় মাপের মানুষ হয় তত ছোট মাছ খায়। তিনি আমার কথা রাখলেন। অবাক হবার বিষয় হলো রাতে সার্কিট হাউজে সকল অফিারের সাথে বসে প্রধান অতিথি শুধু মায়া মাছ দিয়ে ভাত খেয়েছেন অন্য কোন মাছ খান নাই। ডিসি সালাম স্যার অনেক অনুরোধ করেছিলেন।
এই মন্ত্রনালয়ে কাজ করার সুবাদে বেশ কিছু মিটিং এ কাছ থেকে জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় কে দেখেছি তিনি অনেক শান্ত, ধীরস্থির প্রকৃতির মানুষ। জনাব সজীব ওয়াজেদ দেশে একটি শক্তিশালী আইটি ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলা, ই-গভর্ন্যান্স প্রবর্তন ও বৃহৎ পরিসরে আইটি শিক্ষা চালুর মাধ্যমে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রকল্প বাস্তবায়নে একটি বিশদ ধারণাপত্র ও কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধান কারিগর হিসেবে কাজ করছেন। উন্নত দেশ যে পর্যায়ে গেছে বাংলাদেশকে সে পর্যয়ে নেয়ার জন্য তিনি অত্যন্ত উদগ্রীব। তিনি আইসিটি সেক্টরে যারা রোল প্লে করেন তাদেরকে ব্লান্ক চেক দিয়ে রেখেছেন উন্নয়নের জন্য তার নাম ব্যবহার করার। এটা যদি করতে পারি তাহলে আমদের দ্রুত আগানোর পথে কোন বাধাই আর বাধা থাকতে পারবে না। কিছুদিন আগে নির্বাচন কমিশনের কাছে জাতীয় পরিচয় পত্রের ডাটা সবার জন্য উন্মুক্ত করার জন্য বলা হলে ইসি তা দিতে রাজি হয় নাই। পরে আইসিটি এ্যাডভাইজারের ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ ও উদ্যোগে ইসি “পরিচয়” ওপেন করে দিতে বাধ্য হয়। তিনি বলেন দেশের অনেক টাকা খরচ করে এই ডাটা তৈরি করা হয়েছে এটি ইসির সম্পত্তি না এটি জনগনের সম্পত্তি। এতে আইসিটি সেক্টরের গুরুত্ব ও সুযোগ দুটোই বেড়েছে।
আমাদের ইয়াং এনারজেটিক মন্ত্রী জনাব জুনায়দ আহমেদ পলক তাকে নিয়েই সঠিক পথে এগোচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেক নজরতো আছেই।
সজিব ওয়াজেদ জয়, জয় বাংলা।
কোনঠে বাহে জাগো সবাই।
[ কঠোর পরিশ্রম : আগামী পর্বে। ]
মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান
যুগ্ম সচিব
আইসিটি মন্ত্রণালয়
আইসিটি ভবন
আগারগাঁও ঢাকা।