বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক, এইউজেডনিউজ২৪: জুনাইদ আহমেদ পলককে ইয়াং গ্লোবাল লিডার ২০১৬ নির্বাচনের ক্ষেত্রে ফোরাম উল্লেখ করেছে যে, তাঁর নেতৃত্বগুণে পেশাদারী কর্মসম্পাদন, সমাজের প্রতি অঙ্গীকার এবং আগামীর পৃথিবী রূপায়ণে সম্ভাব্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই সম্মাননা দেওয়া হলো। সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক এই থিংক ট্যাংক প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছরই সারা পৃথিবী থেকে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে উজ্জ্বল ৪০ বছরের কম বয়সী বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে এই সম্মাননা দিয়ে থাকে। এই মনোনয়নের ফলে জুনাইদ আহমেদ পলক পরবর্তী ৫ বছর ফোরামের সব কনফারেন্স ও কর্মশালায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন এবং উক্ত ফোরাম মনোনীত ব্যক্তির অনন্য উদ্যোগে সহযোগিতা করবে বলে উল্লেখ করে । এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের মন্ত্রী মহোদয় বিশ্বের ৩৫ টি দেশে বিনা খরচে ভ্রমন করেছেন এবং লব্ধ জ্ঞান বাংলাদেশের আইসিটি সেক্টরে কাজে লাগাচ্ছেন। দেশ আজ ডিজিটাল প্লাটফর্মে শক্তিশালী রুপ নিচ্ছে। তিনি পেশায় একজন আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ হলেও আসলে তিনি একজন আইটি ব্যক্তিত্ব। ২০১৬ সালের মার্চে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম জুনাইদ আহ্মেদ পলককে ইয়াং গ্লোবাল লিডার ২০১৬’ হিসেবে মনোনীত করে।
জুনাইদ আহ্মেদ পলক ১৯৮০ সালের ১৭ মে বাংলাদেশের নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার আর্থিকভাবে স্বচ্ছল সেরকোলের তেলিগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ফয়েজ উদ্দিন এবং মায়ের নাম জামিলা আহমেদ। তিনি ১৯৯৫ সালে সিংড়া দমদমা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ১৯৯৭ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। পরবর্তীতে ঢাকা কলেজ হতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে এল.এল.বি ডিগ্রি অর্জন করে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত হন। তার স্ত্রীর নাম আরিফা জেসমিন (কনিকা)। অতি নম্র, ভদ্র ও মিশুক প্রকৃতির এ দম্পতির তিন সন্তান। তারা হলো অপূর্ণ, অর্জুন এবং অনির্বান । বেশীরভাগ সময় মন্ত্রীমহোদয় নিজেই তার সন্তানদের টেককেয়ার করেন। তিনি একজন সুবক্তা গুছিয়ে কথা বলেন পরিমিত বলতে পারেন- মানুষজন মন্ত্রমুগ্ধের মতো তার বক্তব্য শোনেন। তিনি ভালো গান জানেন গান শোনেন এবং স্টেজ মাতিয়ে রাখেন। তিনি যে কি পরিমাণ পরিশ্রম করতে পারেন তা আমাদের কল্পনাতেও আসে না।
ছাত্ররাজনীতি করার সময় তিনি বেশ কিছুদিন সিংড়া কলেজে ভিপি এর দায়িত্বে ছিলেন। খেলাধুলায় তার ছিল অদম্য উৎসাহ ও উদ্দীপনা। তিনি ভালো ক্রিকেট খেলতেন। তাঁর তৈরী একটি ক্লাব “দুর্দম” সিংড়ায় বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছিল। চটপটে এবং স্মার্ট মাননীয় মন্ত্রীমহোদয় একসময় ভালো খেলতেন এবং খেলার কারনেই তিনি এলাকায় বেশ জনপ্রিয় হন। তিনি সিংড়াতেই বড় হয়েছেন সিংড়াকে তিনি লালন করেন বুকে ধারন করেন। উপজেলা পর্যায়ে তিনি যে সব কাজ করেছেন বা তাঁর উদ্যোগে যেসব কাজ সম্পাদিত হয়েছে সেগুলো যে কোন রাজনীতিবিদের জন্যই অনুকরণীয়।
চলনবিল ডিজিটাল সিটি : ২০ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে এমন একটি কার্যক্রম চলনবিল ডিজিটাল সিটি নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে : এর মধ্যে থাকছে- ২৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, একটি হাইটেক পার্ক এবং একটি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার।
সিংড়ায আরো যেসব উন্নয়ন: ৭৫ হাজার পরিবারে নতুন বিদ্যুৎ সরবরাহ, ৫০ শয্যার আধুনিক হাসপাতাল,অসংখ্য রাস্তা ঘাট ব্রিজ কালভার্ট তৈরী করেছেন। উপজেলার ৫৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব এবং ৬৩ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু করেছেন। তিনি একটি উপজেলা কমপ্লেক্সও নিয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস চালু করেছেন। এলাকায় টেলিমেডিসিন সেবার উদ্বোধন করেছেন এবং ৪২ টি কমুনিটি ক্লিনিকের সকলকে একটি করে ল্যাপটপ দিয়েছেন। এলাকার ১৬২ জন শিক্ষককে আইটি প্রশিক্ষণ দিয়েছেন এবং ১২৫ জন শিক্ষককে ডিজিটাল কন্টেন্ট প্রস্তুতের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে প্রান্তিক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ৪৮ হাজার কৃষকের মাঝে অর্থ প্রদান করেছেন। তিনি এলাকায নিয়মিত যান উপজেলায় সকল মিটিং এ উপস্থিত থাকেন, নির্দেশনা দেন, উৎসাহ দেন। আসলেই তিনি একজন সফল দেশ প্রেমিক নাগরিক।
বাবা মরহুম ফয়েজ উদ্দিনের পদানুসরণ করে জুনাইদ আহমেদ পলক বিশ বছর বয়সে আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে রাজনীতিতে যোগ দেন। আটাশ বছর বয়সে ২০০৮ সালে সিংড়া নির্বাচনী এলাকা থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান এবং সংসদ নির্বাচনে সিংড়া উপজেলা থেকে নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য হিসেবে সপথ নেন। তিনি ২০১৪ সালেও নির্বাচিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংসদ সদস্য এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আমাদের মন্ত্রী মহোদয় ডিজিটাল বাংলাদেশের চারটি মূল পিলারের উপর দাড়িয়ে বিপুল গতিতে কাজ করে যাচেছন:
১। কানেকটিং বাংলাদেশ
২। দক্ষ মানব সম্পদ,
৩। ই গর্ভনমেন্ট,
৪। ইন্ডাস্ট্রি প্রমোশন।
বিগত ১০ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশের চার স্তম্ভ এর আলোকে বিভিন্ন উদ্যোগ, প্রকল্প ও কর্মসূচির বাস্তবায়ন করা হয়। এই সময়ে তথ্য ও যোগাযোগ খাতের অভূতপূর্ব সম্প্রসারণ ঘটে যা ডিজিটাল অর্থনীতি ও জ্ঞান নির্ভর সমাজ বির্নিমাণের পথ সুগম করে।
আমাদের মন্ত্রনালয়ে প্রায় ৩১ টি প্রকল্প চলমান রয়েছে, কিছু শেষ হয়েছে আরও কিছু নেয়ার কর্যক্রম চলছে। এসব প্রকল্পে পিডি আছেন। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো মিটিং এর সময় দেখা যায় সকল প্রজেক্টের সকল বিষয় মন্ত্রী মহোদয়ের মুখস্থ। এটা যে কিভাবে সম্ভব তা এখনও আমাদের কাছে এক অপার বিস্ময়!
৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেন্জ মোকাবেলায় তরুনদেরকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে ইনোভেটিভ আইডিয়া কাজে লাগনোর জন্য প্রকল্পগুলি নেয়া হয়েছে- এর অগ্রভাগে চালিকা শক্তি হিসেবে রয়েছেন মাননীয় মন্ত্রী জনাব জুনায়েদ আহমেদ পলক।
প্রজেক্ট গুলোর নাম পরিচয় নিম্নে দেয়া হলো :
* ফোর টায়ার জাতীয় ডাটা সেন্টার স্থাপন-কালিয়াকৈর। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ন তথ্যসমূহ রাখার জন্য।
* উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ IDEA।
* বাংলাদেশ ই-গভর্নমেন্ট ইআরপি ।
* জাতীয় তথ্য
মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান
যুগ্ম সচিব
আইসিটি মন্ত্রণালয়
আইসিটি ভবন
আগারগাঁও ঢাকা।