ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, এইউজেডনিউজ২৪: কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার ঘটনায় ক্ষোভে উত্তাল গোটা যুক্তরাষ্ট্র। করোনার ভয় আর স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেই রাজপথে নেমেছে হাজারো মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ফিলাডেলফিয়া, মিয়ামি, লস অ্যাঞ্জেলসসহ বেশ কয়েক শহরে কারফিউ জারি করা হয়। বেশ কয়েক রাজ্যে মোতায়েন করা হয়েছে ন্যাশনাল গার্ড। তবে সব বাঁধা উপেক্ষা করেই বিক্ষোভ চলছে রাজ্যে রাজ্যে। আটক হয়েছেন কয়েকশো বিক্ষোভকারী।
শুধু এক পুলিশকে আটকে ন্যায়বিচার হবে না। নির্মম এ হত্যাকান্ডের সময় যারা আশপাশে ছিলেন তাদেরও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তারা সবাই অপরাধী।
কারফিউ দিয়ে এ বিক্ষোভ ঠেকানো যাবে না। কারণ অপরাধের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেছি আমরা। এতে কোন অন্যায় নেই।
নিউইয়র্ক, আটলান্টা, ওয়াশিংটনসহ কয়েক জায়গায় পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। কয়েক জায়গায় পুলিশের গাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা। হোয়াইট হাউস, জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের সামনেও বিক্ষোভ হয়। ঘটে লুটের ঘটনাও। মিনেসোটায় বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস , পিপার স্প্রে আর রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। সহিংস বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার হুশিয়ারী দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
নিউইয়র্কের মেয়র বিল দে ব্লাসিও বলেন, অন্যায় দিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মেনে নেয়া যায় না। সরকারি কর্মকর্তা কিংবা সম্পদের ওপর আক্রমণ মেনে নেয়া হবে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে ন্যায় বিচার সম্ভব।
গেলো ২৫ মে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে হাঁটু দিয়ে ঘাঁড় চেপে ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যা করে ডেরেক চাউভিন নামের পুলিশ। এ ঘটনায় চার পুলিশকে বরখাস্ত করা হয়। আটকের পর হত্যা মামলা দায়ের হয় ডেরেকের বিরুদ্ধে। সোমবার তাকে আদালতে তোলা হবে।