বিজনেস ডেস্ক: চলতি সপ্তাহে ভারতের চাল রপ্তানি মূল্য বেড়েছে। নতুন মৌসুমে দেশটির প্রধান উৎপাদন এলাকায় আগের বছরের চেয়ে ধানের আবাদ কমেছে। ফলে খাদ্যপণ্যটির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি আকস্মিক বন্যায় বাংলাদেশে চালের সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে বিজনেস রেকর্ডারের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের শীর্ষ চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত। সেখানে ৫ শতাংশ ভাঙা চালের দর বেড়েছে। প্রতি টন বিক্রি হয়েছে ৩৬২ থেকে ৩৬৮ ডলারে। গত সপ্তাহে যা ছিল ৩৬১ থেকে ৩৬৬ ডলার।
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাদাভিত্তিক এক রপ্তানিকারক বলেন, চালের চাহিদা কম। তবে দাম বেড়েছে। কারণ, ধানের রোপণ বাড়েনি।
চলতি মৌসুমে ১২ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন হেক্টরে ধান চাষ করেছেন ভারতীয় কৃষকরা। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে যা প্রায় ১৭ শতাংশ কম। ধানের মূল চাষাবাদ এলাকায় অনাবৃষ্টির কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ইতোমধ্যে প্রতিবেশি বাংলাদেশে আকস্মিক বন্যায় প্রায় ২ লাখ ৫৪ হাজার টন চাল নষ্ট হয়েছে। এতে ৪ লাখ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের মূল্য নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির সরকার। এরই মধ্যে খাদ্যশস্যটির আমদানি শুল্ক কমিয়েছে তারা। মূলত বিদেশ থেকে চাল কিনতে আমদানিকারকদের উৎসাহিত করতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
গতকাল প্রতি টন ভিয়েতনামের ভাঙা চাল বিকিয়েছে ৪১৫ থেকে ৪২০ ডলারে। আগের সপ্তাহের চেয়ে দর প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে।
হো চি মিন সিটির এক ব্যবসায়ী বলেন, কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা আমরা কমিয়ে দিয়েছি। বেশি চাষাবাদের জন্য অপেক্ষা করছি।
তিনি বলেন, গ্রীষ্ম-শরৎ সময়ে নতুন চালের সরবরাহ বাড়ায় দেশের বাজারে মূল্য কমেছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টি ধানের ভালো উৎপাদনের সহায়তা করেছে।
শহরের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ফিলিপাইন্স ও চীনসহ বিশ্ববাজারের বৃহৎ ক্রেতাদের চাল কেনার সংকেতের অপেক্ষায় আছি আমরা।
থাইল্যান্ডের ৫ শতাংশ ভাঙা চালের মূল্য প্রতি টন ৪২০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। এ নিয়ে দেশটিতে টানা ৩ সপ্তাহ খাদ্যপণ্যটি দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
ব্যাংককভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বলেন, বাজার স্থিতিশীল আছে। যেখানে-সেখানে চাল বিক্রি করতে পারি আমরা। সরবরাহ কোনো ইস্যু নয়।