হেল্থ ডেস্ক: রাজধানীসহ সারাদেশে প্রতিদিনই হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর ভিড়। ডেঙ্গু ও করোনার উপসর্গ অনেকটা একইরকম হওয়ায় অনেকেই নিজে বা আপনজনেরা জ্বরে আক্রান্ত হলে ডেঙ্গু নাকি করোনা তা সঠিকভাবে বোঝা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। ফলে সঠিক রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসায়ও চ্যালেঞ্জ দেখা দিচ্ছে। কারণ ডেঙ্গু ও করোনার কো-ইনফেকশনের ঘটনাও ঘটছে। একদিকে যেমন করোনায় নাজেহাল দেশ। অন্যদিকে বেড়ে চলেছে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা।
ন্যাশনাল সেন্টার অফ বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশানে প্রকাশিত এক রিপোর্টে দেখা গেছে, করোনা ও ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে একই ধরনের লক্ষণ দেখা গেছে। আবার করোনা, ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার লক্ষণগুলো একটি অন্যটির সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। যে কারণে রোগ নির্ণয় করা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। এতে চিকিৎসার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা ও ডেঙ্গু রোগগুলোর লক্ষণ প্রায় একইরকম। যেমন ডায়রিয়া, বমি, মাথা ব্যথা, জ্বর, গাঁটে ব্যথা। দুটো রোগেই উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর হয়। তবে করোনায় ফ্লু এর উপসর্গ বেশি থাকে। যেমন, নাক দিয়ে সর্দি বের হওয়া, কাশি, গলাব্যাথা, সর্দি, শ্বাসকষ্ট, গন্ধ না পাওয়া, পেটে ব্যাথা, বমি এবং ডায়রিয়া। কো- ইনফেকশন প্রতিরোধে জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে রোগী শনাক্ত করা সহজ হবে। ফলে চিকিৎসা দেওয়াও সহজ হবে। এতে ভুল চিকিৎসার ফলে মৃত্যুর ঝুঁকিও কমবে।
অন্যদিকে হঠাৎ করেই বেশি জ্বর, বমি, শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা, গা গোলানো, র্যাশ ইত্যাদি ডেঙ্গুর সাধারণ লক্ষণ। চোখের ভেতর ব্যথা, ঠান্ডা লাগা, অ্যাকিউট জয়েন্ট পেইনের মতো সমস্যা চিকনগুনিয়ার লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
এই সময়ে সচেতন থাকার কোন বিকল্প নেই। কিছু সতর্কতা মাথায় রাখতে হবে। যেমন দুই থেকে তিন দিনের ভেতরেও জ্বর না কমল দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। মাথাব্যথা, র্যাশ, ঠান্ডা লাগা, মাইলেজিয়ার মতো লক্ষণ থাকলে সতর্ক হওয়া জরুরি। ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার কারণে দেখা দিতে পারে এই লক্ষণগুলো। বয়স্ক ব্যক্তি এবং শিশুদের মধ্যে এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।
চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে বা অন্য কারও পরামর্শ শুনে সেই অনুযায়ী ওষুধ খাওয়া একেবারেই উচিৎ নয়। প্রথমে রোগ নির্ণয় এবং এরপর বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে তবেই ওষুধ খেতে হবে। নিজে থেকে কোনো ওষুধ খাওয়া যাবে না।