দীর্ঘ ৯ বছর পর দেশে ফিরলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। রোববার (১১ আগস্ট) দিল্লী থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে দুপুর ২টা ১৬ মিনিটে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নামেন।
প্রায় আধা ঘণ্টা পর ছাদ খোলা গাড়িতে করে বের হন সালাহউদ্দিন। কয়েক হাজার নেতা-কর্মী বিমান বন্দরে উপস্থিত হয়ে তাদের প্রিয় নেতাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায়। তবে গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি তিনি।
সরকারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে সালাহউদ্দিনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। দীর্ঘ ৬২ দিন নিখোঁজ থাকার পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। সালাহউদ্দিনকে আটক করার পর বৈধ নথিপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে দেশটির ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী মামলা করে মেঘালয় পুলিশ।
একই বছরের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়। সেই মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ে ২০১৮ সালে সালাহউদ্দিন খালাস পান। ভারত সরকার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে তাকে সেখানেই থাকতে হয়।
পাসপোর্ট না থাকায় সালাহউদ্দিন আহমেদ ট্রাভেল পাস(ট্রাভেল পারমিট) নিয়ে দেশে ফিরেছেন। তিনি এই ট্রাভেল পারমিটের জন্য গৌহাটিতে বাংলাদেশের সহকারি হাইকমিশনে আবেদন করেন। তবে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সালাহউদ্দিন আহমেদের দেশে ফেরার পথ সুগম হয়। আইনি জটিলতা কাটিয়ে এবার তিনি নিজ দেশে ফিরলেন।
এর আগে শনিবার (১০ আগস্ট) দলের পক্ষ থেকে জানানো হয় রোববার (১১ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে দিল্লি থেকে ঢাকায় আসবেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।
জানা যায়, ৬ আগস্ট দেশে ফেরার জন্য তিনি ভ্রমণ অনুমোদন বা ট্রাভেল পাস পেয়েছেন। ওইদিন মেঘালয় থেকে গণমাধ্যমে সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, গুয়াহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনারের অফিস থেকে ট্রাভেল পাসের বিষয়টি জানানো হয়েছে। ট্রাভেল পাসটি এখনো আমার হাতে এসে পৌঁছায়নি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দেশে ফেরার পরিকল্পনা রয়েছে।