২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে বলে গত শুক্রবার ঘোষণা দিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তবে নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই চাইছে বিএনপি। নির্বাচন পিছিয়ে দিলে কাদের লাভ এবার সেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আজ রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরে নিজের মেহেদীবাগের বাসভবনে সাংবাদিকদের সামনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘কাদের জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে? কাদের জন্য এ সুবিধা সৃষ্টি করা হচ্ছে? এতে লাভবান কারা হচ্ছে? তাহলে আগামী নির্বাচনও কি যারা আছে, তারা প্রভাবিত করে তাদের দিকে নিয়ে যাবে বা তাদের মতো করে নির্বাচন করবে? প্রশ্নগুলো উঠে আসছে।’
এদিন নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন আমির খসরু। পরে সাংবাদিকদের কাছে তিনি দাবি করেছেন, ৯০ শতাংশ রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়।
ওই সময়ে নির্বাচনের যৌক্তিকতা বলতে গিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘অনেক ভেবেচিন্তে সবাই মিলে ডিসেম্বরে নির্বাচনের বিষয়টি বলা হয়েছে। কেননা, এরপর পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে। রমজান মাসে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড করার সুযোগ থাকে না। এরপর আবার পরীক্ষা, আবহাওয়া, কালবৈশাখী মিলিয়ে (নির্বাচনী কাজ চালানো) সম্ভব হবে না। ফলে এ সময়ে (এপ্রিলে) নির্বাচনী দিনক্ষণ ঠিক করার পেছনে কী কারণ, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।’
বিচার বিভাগের কাজ প্রসঙ্গে আমির খসরু বলেন, ‘বিচার কার্য চলছে, বিচার বিভাগের অধীনে। একটা বিচারালয়ে বিচার চলছে। সুতরাং সরকার আসবে যাবে, বিচার অব্যাহত থাকবে। সরকার যদি তারপরও (সবাইকে বিচারের) আনতে না পারে, বিএনপি আসলে বাকি যারা থাকবে তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসবে।’