বর্তমানে ৭২-এর সংবিধান নেই বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে আলরাজি কমপ্লেক্সে গণঅধিকার পরিষদের দলীয় কার্যালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘সংবিধান তো ৭২-এর সংবিধান এখন আর নেই। ওই সংবিধান এখন পর্যন্ত ১৭ বার সংশোধন করা হয়েছে। তাই এটা ৭২-এর সংবিধান, ৮৪-এর সংবিধান, ৯১-এর সংবিধান, ১১-এর সংবিধান এইভাবে বোধ হয় বলার সুযোগ নেই। আর ৭২-এ যদি আমরা ধরে থাকি সংবিধানের ভিত্তি- আনুষ্ঠানিকভাবে সংবিধানের রচনা শুরু হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে ১৯৭১ সালে আমরা দেশ স্বাধীনের পর পর রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য আমাদের একটি সংবিধানের দরকার ছিল। সেক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের পরের সেই সংবিধানকে তো আমরা অস্বীকার করতে পারব না, মুক্তিযুদ্ধকে তো অস্বীকার করতে পারর না। ’
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘একটা জাতি জীবনে একবারই স্বাধীন হয়। ৭১-কে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। ২৪ কিংবা ১৮ কিংবা ৯০-এর সঙ্গে কিন্তু ৭১-এর তুলনা হয় না। ৭১-এ আমাদের (দেশের) জন্ম হয়েছে। পরবর্তী ধাপগুলো আমাদের বিকাশের পথ। কাজেই একাত্তরের সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা করা চলে না। ’
তিনি বলেন, ‘সংবিধানের সংশোধনের বেশ কিছু প্রয়োজনীয়তা আমরা উপলব্ধি করেছি রাজনৈতিকদলগুলো আলাপ-আলোচনা করে। তারা তাদের মতামত সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে দিয়েছে। আশা করি, সেটা বাস্তবায়ন হবে। ’
সংবাদ সম্মেলনে নতুন বাংলাদেশ গঠনে অতীতের ভেদাভেদ ভুলে গণঅধিকার পরিষদের একীভূত হয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘বৃহত্তর স্বার্থে সব ব্যবধান ভুলে গণঅধিকার পরিষদকে এক করা হয়েছে। দু-একজন এর বাইরে থাকতে পারেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা সবাই যুক্ত হবেন।’