বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে ২ ধরনের ডায়াবেটিস রোগীর ৬১ শতাংশই জানেন না তারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। যাদের প্রতি চারজনের মধ্যে তিনজনেরই শুরুতে লক্ষণ থাকে না। দীর্ঘদিন পরে অন্য কোনো জটিলতা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গেলে বুঝতে পারেন ডায়াবেটিস হয়েছে। এরই মধ্যে যা ক্ষতি হবার তা হয়ে যায়।
অন্যদিকে দেশে তরুণদের মাঝে বাড়ছে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের হার। গবেষণা তথ্যমতে, ৩০ বছরের বেশি বয়সীদের এ হার ২১ দশমিক ৩ শতাংশ। চিকিৎসকরা বলছেন, নিয়ন্ত্রিত জীবন আর সচেতনতাই পারে এ রোগ প্রতিরোধ করতে।
আক্রান্ত রোগী মনোয়ারের স্ত্রী জানান, তিন বছর আগে ৩৬ বছরের মনোয়ারের ডায়াবেটিস ধরা পড়ে। এই বয়সে সংসারের হাল ধরার কথা থাকলেও তিনি এখন পুরোপুরিই পরিবারের ওপর নির্ভরশীল । রোগের শুরুতে তিনি ডাক্তারের পরামর্শ মেনে না চলায় এখন তার এই করুণ অবস্থা।
অন্য এক রোগী বলেন, এই ডায়াবেটিসের জন্য তার শরীরে কিডনিসহ নানা রোগ দেখা দিয়েছে। আগে ঠিকমত হাটা-চলা করলে দুই পা ব্যথা থাকার কারণে এখন তা পারেন না।
অতিরিক্ত নগরায়ন, জীবনযাপন ও খাদ্যাভাসে পরিবর্তন, কায়িক পরিশ্রমের অভাব এবং অতিমাত্রায় মোবাইলে আসক্তির কারণে তরুণরাও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন উদ্বেগজনকভাবে হারে।
বারডেম জেনারেল হাসপাতাল ডিরেক্টর একাডেমি অধ্যাপক মো. ফারুক পাঠান জানান, অল্প বয়সে ডায়াবেটিস হলে বেশিরভাগ মানুষই নিয়ম কানুন মেনে চলে না। ফলে কিডনি রোগ, স্নায়ু ফাংশন কমে গিয়ে মৃত্যুর কাছে আসতে হয়।
বারডেম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ফয়জা এলা কামাল বলেন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আমাদের জাঙ্ক ফুড বাদ দিয়ে নিয়মিত ব্যায়াম ও হাঁটতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে বিশ্বে বর্তমানে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৪২ কোটির বেশি। তিন দশকে যা বেড়েছে চার গুনের মতো।