চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে দেশে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন মোট ১৩.০৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স। এটি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ০৭ শতাংশ বেশি। সোমবার (১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দেশে এসেছে ১ হাজার ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ৯০ হাজার ডলার। বছর ব্যবধানে যা বেড়েছে ১৯০ কোটি ১২ লাখ ডলার। এর তুলনায় গত অর্থবছরের একই সময়ে দেশে এসেছে ১ হাজার ১১৩ কোটি ৭০ লাখ ৯০ হাজার ডলার।
নভেম্বর মাসে রেমিট্যান্স সবচেয়ে বেশি এসেছে ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ২০ হাজার ডলার। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো মাধ্যমে এসেছে ৫৮ কোটি ৭৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংক মাধ্যমে ২৯ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংক থেকে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং বিদেশি খাতের ব্যাংক থেকে ৫৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বরে ২৩ থেকে ৩০ তারিখে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৭৫ কোটি ৪৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার, ১৬ থেকে ২২ তারিখে এসেছে ৬১ কোটি ২২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। ৯ থেকে ১৫ নভেম্বর দেশে এসেছে ৭৬ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার, ২ থেকে ৮ নভেম্বর ৭১ কোটি ১০ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং নভেম্বরের প্রথম দিনে পাঠানো হয়েছে ৪ কোটি ৩১ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
এর আগে অক্টোবর ও সেপ্টেম্বরে যথাক্রমে ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ও ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার দেশে এসেছে। জুলাই ও আগস্টে যথাক্রমে ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ও ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার ডলার প্রবাসী আয় হয়েছে।
গবেষণায় দেখা যায়, গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন সর্বমোট ৩০.৩২ বিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো নির্দিষ্ট অর্থবছরে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়ের রেকর্ড।
বাংলাদেশের অর্থনীতি ও বৈদেশিক মুদ্রা জোগান বৃদ্ধিতে প্রবাসীদের এই রেমিট্যান্স গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে, যা দেশের উন্নয়ন ও দৈনন্দিন আর্থিক চাহিদা মেটাতে সহায়তা করছে।

