এ যেন সেই পুরোনো এবি ডি ভিলিয়ার্স! ক্রিজে এসেই রীতিমতো ঝড় তুললেন। ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লেজেন্ডসে কাল ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়নসের বিপক্ষে করেছেন ৪১ বলে সেঞ্চুরি। অপরাজিত ছিলেন ৫১ বলে ১১৬ রানে। তাঁর এই সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের দেওয়া ১৫৩ রানের লক্ষ্য ৪৬ বল আর ১০ উইকেট হাতে রেখে তাড়া করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা লেজেন্ডস।
ওপেনিংয়ে ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গী ছিলেন আরেক প্রোটিয়া কিংবদন্তি হাশিম আমলা। তিনি করেন ২৫ বলে অপরাজিত ২৯, পুরো সময়টাই আমলা আসলে ডি ভিলিয়ার্সের তাণ্ডব উপভোগ করেছেন।
৫১ বলের ইনিংসে ১৫টি চার ও ৭টি ছক্কা মেরেছেন ডি ভিলিয়ার্স। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ইংলিশ পেসার আজমল শেহজাদের বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শুরু করেন। একই ওভারে আরও একটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকিয়ে বুঝিয়ে দেন রাতটা তাঁর।
এর পর থেকে ইংল্যান্ড বোলারদের জন্য যেন নেমে আসে তাণ্ডব। লিয়াম প্ল্যাঙ্কেটের বলে টানা দুটি বাউন্ডারি মেরে ২১ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন ২০২১ সালে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া ডি ভিলিয়ার্স।
৪১ বছর বয়সী ডি ভিলিয়ার্সের পরের ফিফটি ছুঁতে লেগেছে ২০ বল। ইনিংসের একাদশ ওভারে শেহজাদের বলে একটি সিঙ্গেল নিয়ে পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি, এরপর আর থামেননি। দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। এই জয়ে টানা তিন ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়নস। তাদের সংগ্রহ এখন ৬ পয়েন্ট। ২৫ জুলাই একই ভেন্যুতে তারা মুখোমুখি হবে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নসের।
ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়নসের মুখোমুখি হওয়ার আগে ভারত চ্যাম্পিয়নসের বিপক্ষে ম্যাচেও ঝড় তুলেছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। সেদিন করেছিলেন ৩০ বলে অপরাজিত ৬১ রান। ছক্কা মারেন ৩টি, চার ৪টি। ভারত চ্যাম্পিয়নসের বিপক্ষে সে ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা জেতে ৮৮ রানে। গতকালের মতো সে ম্যাচেও সেরা খেলোয়াড় ডি ভিলিয়ার্স। শুধু তাই নয়, ভারত চ্যাম্পিয়নসের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক ক্যাচে ইউসুফ পাঠানকে ফেরান ডি ভিলিয়ার্স। তবে ক্যাচটি যে তিনি নিয়েছেন, সেটি লেখা থাকবে না স্কোরবোর্ডে। কিন্তু ক্যাচটির আসল কৃতিত্ব তাঁরই।
সেদিন ভারতের ইনিংসের নবম ওভারে ইউসুফ পাঠান লেগ স্পিনার ইমরান তাহিরকে লং অন দিয়ে ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন। তবে সীমানায় ফিল্ডিং করা ডি ভিলিয়ার্স শূন্যে লাফিয়ে মাঝপথেই ক্যাচটি তালুবন্দী করেন।
ডি ভিলিয়ার্স তখনই বুঝতে পেরেছিলেন, শূন্যে থাকা অবস্থায় নিজের গতি তাঁকে সীমানার বাইরে নিয়ে যাবে। তাই বাউন্ডারির বাইরে যাওয়ার আগে বল ছুড়ে দেন সতীর্থ সারেল আরউইয়ের দিকে, যিনি বলটি সহজে ধরেন। ৪১ বছর বয়সেও ডি ভিলিয়ার্স ক্রিকেট কতটা উপভোগ করছেন, সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।