তবে নকশা নিয়ে দফায় দফায় বন্দর কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন সংস্থার আপত্তিতে দীর্ঘায়িত হয় এ প্রকল্প। মেয়াদের শেষদিকে এসে এখনো রয়ে গেছে জটিলতা। যাতে দেওয়ানহাট রেল ব্রিজের উপরের অংশের কাজ নিয়ে রেলওয়ে, লালখানবাজার অংশে র্যাম্প নির্মাণে তিনটি সংস্থার সাথে মেটেনি বিরোধ।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে ৭০ শতাংশ বাঁধা আমাদের দূর হয়েছে। বাকী ৩০ শতাংশ বাঁধার মধ্যে রয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ, সেনাবাহিনী ও জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ কর্তৃপক্ষ। এই তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে যদি আমরা অনুমোদন পেয়ে যাই তবে ইনশাল্লাহ আমাদের সমন্বয়ে তাড়াতাড়ি সব কাজ শেষ হয়ে যাবে।
বন্দরের আপত্তি, যান চলাচল নিয়ে ট্রাফিক পুলিশের প্রস্তাবনাসহ বারবার নকশা সংশোধনে দীর্ঘায়িত হওয়ায় এখন প্রকল্পের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়াতে চায় সিডিএ। সেইসাথে প্রায় ৩৬ শতাংশ ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাবও গেছে মন্ত্রণালয়ে।
সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সাথে পরামর্শ ও যথাযথ পরিকল্পনা ছাড়া প্রকল্প নিলে যে, নানা জটিলতা ও জনগণের অর্থের শ্রাদ্ধ হয়, এই প্রকল্পটি তার বড় প্রমাণ বলছেন নগরবিদরা। নগরবিদ প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, পরিকল্পিতভাবে প্রকল্প না করার কুফলটিই এখানে দৃশ্যমান হচ্ছে। আমি মনে করি আর যেন জনগণের অর্থের শ্রাদ্ধ না হয় সেকারণে দ্রুততার সাথে এ প্রকল্প শেষ করতে হবে।
বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষের দাবি অনুসারে, এখন পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৬৫ শতাংশ।