রাজধানী ডেস্ক: আগামী নির্বাচনগুলো কীভাবে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করা যায়, সে বিষয়ে আগামী ৩০ মার্চ গণমাধ্যমের সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি। এরপর নারী নেত্রী ও দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বৈঠকে বসবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সংলাপের আয়োজন করেছে আউয়াল কমিশন।
অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে মতামত নিতে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সংলাপে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল সোমবার (২১ মার্চ) ইসির যুগ্মসচিব ও জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজামান সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন এ কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ১৫ দিনের মাথায় রোববার (১৩ মার্চ) শিক্ষাবিদদের সঙ্গে প্রথম সংলাপ করে। সেদিন ৩০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও বৈঠকে এসেছিলেন মাত্র ১৩ জন। সেই সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছিলেন, পরে আরও বেশি সংখ্যক ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। শিক্ষাবিদদের পর মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নির্বাচন কমিশন ভবনে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বসছে ইসি। এ জন্য ৪০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
যে ৪০ বিশিষ্টজন ইসির সংলাপে আমন্ত্রণ পেয়েছেন তারা হলেন- সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, রাশেদা কে চৌধুরী, ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, এম হাফিজ উদ্দিন খান, আবদুল মুহিত চৌধুরী, ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, আব্দুল ময়ীদ চৌধুরী, রোকেয়া এ রহমান, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, অধ্যাপক রওনক জাহান, ড. মোস্তাফিজুর রহমান, নিজেরা করি’র কো-অর্ডিনেটর খুশি কবির, সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজের চেয়ারম্যান (সিইউএস) অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবুল বারকাত, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন, অধ্যাপক রুবায়েত ফেরদৌস, ড. এস শামীম রেজা।
এছাড়াও আমন্ত্রণ পেয়েছেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ হাফিজুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. আমেনা মহসিন, সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান, লিডারশিপ স্টাডিজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. সিনহা এম এ সাঈদ, লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদ, সাবেক রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গোলাম হোসেন, অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, সাবেক সচিব আব্দুল লতিফ মন্ডল, গভর্নেন্স অ্যান্ড রাইট সেন্টারের প্রেসিডেন্ট ড. জহুরুল আলম, স্ট্রাটেজি এনালিস্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল হাফিজ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মহিউদ্দীন আহমদ, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের প্রফেসর (বঙ্গবন্ধু চেয়ার) ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ইনডিজিনিয়াস পিপলস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, বাংলাদেশ হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ওয়ালিউর রহমান, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক বেগম শাহীন আনাম ও লিডারশিপ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. এম এ সাঈদ।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, বর্তমান কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম সংলাপে একগুচ্ছ প্রস্তাবনা পেয়েছে ইসি।
প্রস্তাবগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ভোটার ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে ইভিএম ব্যবহার, দলগুলোর সব স্তরের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য পদ পূরণে ব্যবস্থা নেওয়া, ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ, নির্বাচনের সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে ইসির অধীন রাখা।