পলিটিক্যাল ডেস্ক: সাবেক বিরোধ দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার যে কয়টি চেষ্টা করা হয়, তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ১৭ বছর আগের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা। সেদিন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড ছোঁড়া হয়। এবার অপেক্ষা সেই মামলার আপিল শুনানির। অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, মামলাটি এ বছরই হাইকোর্টে নিষ্পত্তির চেষ্টা করবে রাষ্ট্রপক্ষ। ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা হয়। ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানার হত্যা মামলায় যুক্ত করা হয় বিস্ফোরক আইনের ধারা।
জজ মিয়া নাটক, বারবার তদন্ত ও তৎকালীন ৪ দলীয় জোটের হস্তক্ষেপে নষ্ট হয় মামলার আলামত। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা নিয়ে জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান এক বয়ানে বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় তারেক রহমান-লুৎফুজ্জামান বাবরদের পরিকল্পনায় এ হামলা হয়।
নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ২০১৮ সালের অক্টোবরে বহুল আলোচিত এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডেরর রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয় পলাতক তারেক রহমানসহ আরও ১৯ জনকে। ১১ জনকে দেয়া হয় স্বল্প মেয়াদে জেল।
তবে রায়ের ৩ বছর পরও এখনও আপিল শুনানি হয়নি হাইকোর্টে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা জানান, শুনানির জন্য প্রস্তুত রাষ্ট্রপক্ষ। এ বছরই শুনানি শুরু হবে। তবে আসামিপক্ষের দাবী, এ মামলায় উদ্দ্যেশ্য প্রনোদিতভাবে জড়ানো হয়েছে বিএনপি শীর্ষ নেতাদের।
এ মামলায় তারেক রহমানসহ ১৬ আসামি বিদেশে পলাতক আছেন। এছাড়া অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়েছে মুফতি হান্নানসহ বাকি ৩ জনের।