ঘূর্ণিঝড় মিল্টন বুধবার রাতে টাম্পার দক্ষিণে ফ্লোরিডার উপসাগরীয় উপকূলে আছড়ে পড়ে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০৫ কিলোমিটার।
দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস রিপোর্ট করেছে, এ আঘাতের ফলে সারাসোটা এবং মানাটি কাউন্টিতে ১ মিলিয়নেরও বেশি বাসিন্দা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জন্য বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এদিকে মায়ামি-ভিত্তিক ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক ক্যাটাগরি ৩-এর হারিকেন মিল্টন স্থলভাগে আঘাত হেনেছে। এর ফলে প্রাণনাশের হুমকিস্বরূপ বড় বড় ঢেউ দেখা যাচ্ছে।’
এনএইচসির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়টি ১৫ মাইল বেগে উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে এতে প্রাণহানির হুমকি আছে। বন্যার সতর্কতাও আছে। বিধ্বংসী এ ঝড়ের প্রভাবে একটি বড় এলাকাজুড়ে সর্বোচ্চ ১০ ফুট বা তার বেশি জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
তবে ঘূর্ণিঝড়টির মাত্রা এরই মধ্যে দুদফায় কমিয়ে পাঁচ থেকে তিনে নেমে এসেছে। এরপরেও এ ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বড় রকমের হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস বলেছেন, ‘ফ্লোরিডায় কয়েক ডজন আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। দানবীয় এ ঘূর্ণিঝড়ের কবল থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাঁচাতে নিরাপদ এলাকায় এসব আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।’
৫০০ কিলোমিটার বিস্তৃত ফ্লোরিডা উপদ্বীপের প্রায় সমগ্র পশ্চিম উপকূলে বুধবার ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতা জারি ছিল। ‘মিল্টন’ আঘাত হানার আগে ফ্লোরিডায় একটি টর্নেডো আঘাত হানে। সেখানে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে।