বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: মোবাইল ব্রডব্যান্ড প্রযুক্তির সবশেষ সংযোজন ‘ফাইভ জি’। প্রযুক্তিটির পরীক্ষামূলক সেবা চালুর পর নীতিমালা অনুযায়ী ২০২৩ সালে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করা কথা। অপারেটরগুলো প্রস্তুত থাকলেও মাঠপর্যায়ে প্রস্তুতিতে রয়েছে ব্যাপক ঘাটতি। বিষয়টি নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে নারাজ খোদ মন্ত্রীও।
প্রযুক্তিতে উন্নত বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি দেশ ভারী যন্ত্রপাতির কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছে শ্রমিকবিহীন। যা সম্ভব হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবোটিক বিজ্ঞানের কল্যাণে ফাইভ জি প্রযুক্তির মাধ্যমে। বিশ্বের নবম দেশ হিসেবে ২০২১ সালে ফাইভ-জির পরীক্ষামূলক সেবা চালু করে বাংলাদেশ। প্রথম অপারেটর হিসেবে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল সেবাদাতা টেলিটকের মাধ্যমে রাজধানীর ছয়টি স্থানে শুরু হয় এ সেবা। পূর্ণাঙ্গরূপে প্রযুক্তিটি চালু করতে ২৩৬ কোটি টাকার যে প্রকল্প নেয়া হয় তা স্থগিত হয় গেলো আগস্টে।
অথচ দেশে ফাইভ জি নীতিমালা অনুযায়ী ২০২৩ সালে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তার জন্য মাঠপর্যায়ে যে বিশাল সমন্বয়ের প্রয়োজন সেখানে আছে ঘাটতি।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোন অপারেটর রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স কর্মকর্তা শাহেদ আলম বলেন, আমাদের প্রস্তুতির ঘাটতি আছে। চাইলেই ফাইভ জি আনা সম্ভব না। সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। সরকারি বা বেসরকারি কোনো জায়গা থেকেই আমরা সহায়তা পাচ্ছি না।
এদিকে ফাইভ-জি এর সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে স্পষ্ট নয় সরকারের অবস্থানও। এ বিষয়ে ডাক ও টেলি-যোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার মুঠোফোনে বলেন, আপনারা এ রকম ঝগড়ার মতো পেছনে লাগছেন কেন? আগে যখন এ বিষয়ে কথা হয়েছিল তখন কি কিছু লুকানো ছিল? এখনও দুই মাস সময় রয়েছে। আমি যদি ফাইভ জি বিষয়ে কিছু করি তাহলে সবাইকে জানানো হবে। সময় হলে ধাক্কা দিয়েন, এখনও সময় হয়নি।
এমন অবস্থায় ২০২৬ সালের মধ্যে সারাদেশে ফাইভ জি ছড়িয়ে দিতে সরকারের যে পরিকল্পনা তা দীর্ঘায়িত হওয়ার শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।