জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন,‘আইন অনুসারে ১ আগস্ট থেকে প্যাকেটজাত সয়াবিন তেল বিক্রি করতে হবে, খোলা তেল বিক্রি করা যাবে না। আমরা খোলা তেল বিক্রি বন্ধে মাঠে নামব। সারা দেশে একযোগে এই অভিযান পরিচালনা করা হবে। অভিযানে ভোক্তা অধিকারকে সহযোগিতা করবে জাতীয় হার্ট ফাউন্ডেশন।’
বিক্রির সময় ওজনে কম দেয়া, ভেজাল বন্ধ ও পুষ্টির মান বজায় রাখতে চলতি বছরের ১ আগস্ট থেকে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রির অনুমতি দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান।
রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে গত বুধবার ইআরএফ ও ভোক্তা অধিকারের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি এসব বলেন।
তিনি বলেন, ‘চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিতিশীলতার কারণে তা পিছিয়ে দেয়া হয়। তবে সম্প্রতি শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আগামী মাসের শুরু থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে সম্মত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে শুধু সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রেও একই নিষেধাজ্ঞা আসবে।’
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘বর্তমানে দেশের ভোজ্যতেলের ৩০ শতাংশ সয়াবিন তেল ও বাকি ৭০ শতাংশ পাম, সুপার পাম ও সরিষার তেল দিয়ে পূরণ হয়। আর বাংলাদেশে বিক্রি হওয়া মোট সয়াবিন তেলের ৫০ শতাংশ খোলা এবং ৫০ শতাংশ বোতলজাত।’
তিনি আরও বলেন, ‘আইন অনুসারে ১ আগস্ট থেকে প্যাকেটজাত সয়াবিন তেল বিক্রি করতে হবে, খোলা তেল বিক্রি করা যাবে না। আমরা খোলা তেল বিক্রি বন্ধে মাঠে নামব। সারা দেশে একযোগে এই অভিযান পরিচালনা করা হবে। অভিযানে ভোক্তা অধিকারকে সহযোগিতা করবে জাতীয় হার্ট ফাউন্ডেশন।’