সম্প্রতি ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ইশরাক হোসেন মন্তব্য করেছেন যে, বর্তমানে যেই আইনে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত হয়েছে এবং গণহত্যার দায়ে বিচার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেই একই আইনের আওতায় ১৯৭১ সালের গণহত্যা, ধর্ষণ ও লুটপাটের সঠিক ও কার্যকর বিচার হওয়া জরুরি ছিল।
ইশরাক হোসেনের মতে, ১৯৭১ সালের ঘটনা ছিল আরও ভয়াবহ ও বিভৎস। তিনি অভিযোগ করেন যে, সেই সময়ে সংঘটিত অপরাধের বিচার একসময় শেখ হাসিনা ‘রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত করেন’, যাতে প্রতিপক্ষকে দমন করা যায়। তার দাবি, যদি সেই সময়ে নিরপেক্ষভাবে শহীদ ও ধর্ষিতাদের যথাযথ বিচার হতো, তাহলে আজ জাতি এইভাবে বিভক্ত হতো না। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এত বছর পরও যখন দেখা যায়, ১৯৭১ সালের খুনি-ধর্ষকরা কিংবা তাদের উত্তরসূরীরা নির্লজ্জভাবে বলেন যে পাক হানাদারদের সঙ্গে রাজাকারি করে হত্যা ও ধর্ষণের সিদ্ধান্ত নাকি সঠিক ছিল—তখন বোঝা যায়, তাদের দুর্ভাগ্যের সীমা কোথায় পৌঁছেছে। তিনি বিশ্বাস করেন, আল্লাহ এদের বিচার করবেন—এই দুনিয়াতে না হোক, পরকালে নিশ্চয় করবেন।
ইশরাক হোসেন আরও উল্লেখ করেন যে, তারা ‘পিন্ডির দাসত্ব, দিল্লির অনুগত্য কিংবা আমেরিকা, রাশিয়া, চীনের মতো কোনো পরাশক্তির কাছে মাথা নত করবেন না’। তিনি মনে করেন, এমন কিছু লোক সব সময় থাকবে যারা দালালি পেশায় নিজেদের সুবিধা আদায় করে, যা এক ‘নগ্ন ও ঘৃণ্য বাস্তবতা’। তার মতে, বহির্বিশ্ব তখনই হস্তক্ষেপের সুযোগ পায়, যখন একটি জাতি অভ্যন্তরীণভাবে বিভক্ত হয়ে যায়। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, যদি জাতি হিসেবে তাদের অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে পারতো, তাহলে এই বিভাজন শত বছরেও আসতে দিতেন না।
সম্প্রতি গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল এবং তাদের ‘চালক বড়ভাই রাজনৈতিক দল’ নিয়ে ইশরাক হোসেনের মন্তব্য হলো, তারা ‘আওয়ামী লীগ মডেলের কর্তৃত্ব ছিনতাই রাজনীতির পথেই হাঁটছে’। তবে, তার মতে, জনগণ শেখ হাসিনার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। লক্ষ ছাত্র ও লক্ষ পরিবার, লক্ষ নেতা-কর্মী ও তাদের পরিবার একত্রিত হয়ে শেখ হাসিনাকে পালাতে বাধ্য করেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সেই আন্দোলনের আবেগ ও ত্যাগকে কিছু সমন্বয়কারী, উপদেষ্টা ও এনসিপির নেতা ‘বিক্রি করতে শুরু করেন’ বলে তিনি অভিযোগ করেন। এর ফলাফল কী হতে পারে—তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ নিজেই শেখ হাসিনা বলে তিনি মন্তব্য করেন।