শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনকে নিয়ে অনেক আগ্রহ ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। যদিও আগে থেকেই পরিষ্কার হয়ে গেছে, কাজী সালাউদ্দিনের ১৬ বছরের ফুটবল শাসনের পর কে হতে যাচ্ছেন বাফুফের নতুন সভাপতি। টানা পঞ্চমবারের মতো বাফুফে সভাপতি হতে চেয়েছিলেন কাজী সালাউদ্দিন। কিন্তু সরকারের পটপরিবর্তনের পর তার এই আশা পূরণ হয়নি। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।
শনিবারই সালাউদ্দিনের শেষ কর্মদিবস। এরপর থেকে অতীত হয়ে যাবেন দেশের কিংবদন্তি এই ফুটবলার। নির্বাচনের আগে বাফুফে কর্মীদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায় নিয়েছেন সালাউদ্দিন। তার বিদায়ের ফলে টানা ১৬ বছর পর নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সভাপতি পেতে যাচ্ছে বাফুফে। সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন তাবিথ আউয়াল। অতীতে বাফুফের সহসভাপতি হিসেবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন এই সাবেক ফুটবলার ও সংগঠক। গত নির্বাচনেও সহসভাপতি পদে প্রার্থী হয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে মহিউদ্দিন মহির কাছে হেরে যান তাবিথ। তবে এবার সরাসরি সভাপতি প্রার্থী হলেন তিনি। সভাপতি প্রার্থী হিসেবে আরেকজন আছেন। তিনি দেশের ফুটবলে পরিচিত মুখ নন। দিনাজপুরের তৃণমূল ফুটবল নিয়ে কাজ করেন এমন একজন বাফুফে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন। তার নাম এএফএম মিজানুর রহমান চৌধুরী। তিনি সভাপতি প্রার্থী হলেও আলোচনায় নেই। নতুন সভাপতি হিসেবে তাবিথ আউয়ালই অনেক এগিয়ে আছেন। এই পদে লড়াই জমে ওঠার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
এদিকে সিনিয়র সহসভাপতি পদে লড়াই হচ্ছে না। এই পদে প্রার্থী হয়েছিলেন দুজন। একজন বাফুফে বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সহসভাপতি ও বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান। আরেকজন হলেন- ব্যবসায়ী তরফদার রুহুল আমিন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তরফদার নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেন ইমরুল হাসান। অপরদিকে, চারটি সহসভাপতি পদে লড়াই করছেন মোট ৬ জন প্রার্থী। তারা হলেন- ফাহাদ মোহাম্মদ আহমেদ করিম, মো. ওয়াহিদ উদ্দীন চৌধুরী (হ্যাপি), মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, মো. শফিকুল ইসলাম মানিক, সাব্বির আহম্মেদ আরেফ ও সৈয়দ রুম্মান বিন ওয়ালী সাব্বির। তাদের মধ্যে লড়াই জমবে।
অপরদিকে ১৫টি সদস্য পদের লড়াই নির্বাচনের বাড়তি আকর্ষণ হতে পারে। কেননা এই পদে লড়াই করছেন মোট ৩৭ জন। সাবেক ফুটবলার সত্যজিৎ দাস রুপু, ছাইদ হাছান কানন, ইকবাল হোসেন, সাইফুর রহমান মণি, গাউস, বাফুফে নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ, সাবেক নারী ফুটবলার মাহমুদা খাতুন অদিতিরা নির্বাচিত হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এবারের নির্বাচনে মোট ১৩৩ জন কাউন্সিলর তাদের ভোট প্রদান করবেন। সিনিয়র সহসভাপতি ছাড়া বাকি ২০টি পদের প্রার্থীদের নির্বাচিত করবেন তারা। এবারের নির্বাচনে ফিফা থেকে ২জন, এএফসি থেকে ১জন প্রতিনিধি পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকছেন। এরই মধ্যে ফিফা ও এএফসির প্রতিনিধিরা ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। ২০০৮ থেকে ২০২০ পর্যন্ত বাফুফে নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মেজবাহ উদ্দিন। এবারের নির্বাচনেও তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার।