বিশ্বে এখন নতুন আতঙ্ক এমপক্স বা মাঙ্কিপক্স। আফ্রিকা মহাদেশ থেকে শুরু হয়ে যা ছড়িয়েছে ইউরোপ ও এশিয়াতে। সুইডেন, পাকিস্তানের পর ফিলিপাইনেও একজনের শরীরে পাওয়া গেছে এমপক্স ভাইরাস।
চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত শুধু কঙ্গোতেই এমপক্সে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেছে ৫৪৮ জনের। আফ্রিকার অন্তত ১৩ দেশে ছড়িয়েছে এমপক্সের নতুন ধরন ক্লেইড ওয়ান বি। জরুরি অবস্থা জারি করেছে আফ্রিকার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও ঘোষণা করেছে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা।
সংস্থাটির জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কবার্তায় বলা হয়, এমপক্সের উপসর্গ অনেকটা জ্বর বা ফ্লু এর মতো। আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এলে এমনকি শ্বাস-প্রশ্বাস থেকেও অন্যরা সংক্রমিত হতে পারেন। এ ছাড়া এমপক্স আক্রান্ত বণ্যপ্রাণি শিকার করা, চামড়া তোলা ও মাংস কাটা হলেও সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।
তবে এমপক্স ভাইরাস আগে থেকেই পৃথিবীতে ছিল। মাঝখানে কমলেও সম্প্রতি আবার বাড়তে শুরু করেছে। ১৯৫৮ সালে বানরের দেহে এই ভাইরাস প্রথম শনাক্ত হওয়ায় নামকরণ হয় মাঙ্কিপক্স, যাকে সংক্ষেপে বলা হয় এমপক্স।
তবে গত সপ্তাহে এমপক্সের ক্লেড ওয়ান বি ধরনের জেরে বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ভাইরাসের এই ধরনটি নিয়মিত ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সহজে ছড়িয়ে পড়ে বলে মনে করা হয়। গত সপ্তাহে এই ধরনটি ইউরোপের দেশ সুইডেনে শনাক্ত হয়। ফলে প্রথমবারের মতো আফ্রিকা ছাড়িয়ে বিশ্বের অন্য মহাদেশে ভাইরাসটি উপস্থিতির বিষয়টি সামনে আসে। আর এখন এশিয়া মহাদেশের দেশ পাকিস্তান ও ফিলিপাইনে এই ভাইরাস পাওয়া গেছে।
তবে পাকিস্তানে এমপক্সে আক্রান্ত ওই ব্যক্তির শরীরে ভাইরাসটির নতুন ধরন শনাক্ত হয়নি। তিনি ভাইরাসটির ক্লেড টু-এ সংক্রমিত হয়েছেন। তার শরীরে আফ্রিকা মহাদেশে ছড়িয়ে পড়া এমপক্সের ক্লেড ওয়ান বি ধরন শনাক্ত হয়নি। সোমবার (১৯ আগস্ট) এই বিষয়টি জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
পাকিস্তানি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাজিদ হোসেন শাহ বলেছেন, এখন পর্যন্ত পাকিস্তানে ক্লেড ওয়ান বি শনাক্ত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।