স্পোর্টস ডেস্ক: চোটের কারণে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) থেকে আগেই ছিটকে গেছেন মুশফিকুর রহিম। তবে তার অনুপস্থিতি আবাহনী লিমিটেডের শিরোপা জয় আটকাতে পারেনি। আজ শনিবার ফাইনালে রূপ নেওয়া ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৮ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আবাহনী লিমিটেড। আবাহনীর এটি হ্যাটট্রিক শিরোপা, গত পাঁচ বছরের মধ্যে চতুর্থ। আর সব মিলিয়ে ২১তম শিরোপা জিতে নিল ঢাকা লিগের সফলতম ক্লাবটি।
আগে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৫০ রান তোলে আবাহনী। দুই ওপেনার নাঈম (০) এবং মুনিম (৩) ব্যর্থ। লিটন দাস করেন ১৯ রান। তবে আসল ম্যাচে জ্বলে ওঠেন নাজমুল হোসেন শান্ত। খেলেন ৪৫ রানের ইনিংস। মোসাদ্দেকও ৪০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস উপহার দেন। আবাহনীর জয়ের নায়ক মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। ব্যাট হাতে ১৩ বলে ২১ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসের পর এই অলরাউন্ডার ৩৬ রানে নেন ৪ উইকেট।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নামা প্রাইম ব্যাংকের ওপেনার রুবেল মিয়া ৪১ রানের ইনিংস খেলেন। অলক কাপালি করেন অপরাজিত ৩৪*। তবে আর কেউ দাঁড়াতে না পারায় প্রাইম ব্যাংক রান তাড়ায় সুবিধা করতে পারেনি। জয়ের জন্য শেষ ওভারে প্রাইম ব্যাংকের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। শহিদুল ইসলাম প্রথম ডেলিভারি নো বল হলেও আম্পায়ার তা দেননি। পরের দুই বলেও রান আসেনি। চতুর্থ বলে ছক্কা মারেন কাপালি। তবে শেষে রান চেজিং আর হয়নি। ম্যান অব দা ম্যাচ হয়েছেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
আবাহনীর এই সাফল্যের পেছনে কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের অবদানের কথা অস্বীকারের সুযোগ নেই। তার কোচিংয়েই আবাহনীর শিরোপা বিজয়ের হ্যাটট্রিক হলো। ২০১৪-২০১৫ মৌসুমে প্রাইম ব্যাংককে চ্যাম্পিয়ন করার পর আবাহনীর কোচ হন সুজন। আজকের ম্যাচের আগের দিনি তিনি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, জয়ের ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। প্রাইম ব্যাংককে হারিয়ে তার দল শিরোপা জিতবে। শেষ পর্যন্ত তাই হলো। এমন ম্যাচেও আম্পায়ারিং বিতর্ক পিছু ছাড়েনি।