সাহিত্য ও সংস্কৃতি ডেস্ক:
মধুমতি তুমি বহে চলো ধীরে, নীরবে নিঃশব্দে।
দুপাড়ের মানুষের আহাজারি শুনতে কি পাও ?
কত মানুষের কত গোপন কথা রাখো গোপনে।
কত মানুষ অন্যায়ের স্বীকার ,
লাশ ফেলে দেয় নিয়ে যাও ভাসিয়ে।
কত মানুষের দুঃখ-কষ্ট গ্লানি,
মিশে যায় তোমার সাথে।
হে মধুমতি তুমি ধীরে চল নিরবে।
বহে নাও দুঃখ-বেদনা যত, সুখ-আনন্দ সাথী করে।
তুমি ধীরে চল, বহে যাও নীরবে নিঃশব্দে।
সমাজের কলহ চর নিয়ে যুদ্ধ,
তুমি দেখো নীরবে।
কত অনাহার, দুর্ভিক্ষ,যুদ্ধ বিগ্রহ
দুঃশাসন,কুশাসন,দখল, দাঙ্গা –
ভিনদেশীর অনাচার – ব্যভিচার,
সবই কর সহ্য।
হে মধূ্মতি
তোমার সুপেয় মিঠা পানি প্রাণ বাঁচায় জীবের।
তোমার তীরে বসে দুঃখ বিলায়,
সুখ খুঁজে ফিরে।
তুমি ভাঙ্গো,তুমি গড়, বিলীন কর জনপদ।
তোমাকে নিয়েই সুখি মোরা,
তোমাকে নিয়েই বাঁধি ঘর।
তুমি সকল কিছুর স্বাক্ষী।
তোমাতেই মিশে যাই আমরা-
ভাল-মন্দ মিলে বিদায় বেলা তোমাকেই মনে পড়ে।
মানুষ আসে মানুষ যায় কোটি বছর ধরে,
তুমি বহে যাও ধীরে।
ধীরে, অতি ধীরে, নিরবে নিঃশব্দে।
তোমারি পাড় ঘেঁষে বিশ্বনেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানর জন্ম নিয়েছেন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়।
মধুমতি তুমি ধন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্য।