ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসাধীন মাগুরায় ধর্ষিত শিশুটির শারীরিক অবস্থার কোন উন্নতি নাই, বরং আরও অবনতি হয়েছে।
সিএমএইচ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকা শিশুটির শারীরিক অবস্থা গত সোমবারের পর থেকে কার্যত কোন উন্নতি নেই, বরং আগের দিনের চেয়ে অবনতি হয়েছে।
তারা জানায়, শিশুটি ফিজিক্যালি রেসপন্ড করার কিছু মেডিকেল পরীক্ষা যেমন: পায়ের তালুতে চিমটি দিলে আগের দিন সাড়া দিলেও বর্তমানে সাড়া দিচ্ছে না। শিশুটির শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতাও দেখা দিয়েছে।
সিএমএইচ কমাড্যান্ট ব্রি জে. সোলাইমান চ্যানেল আইয়ের প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, শিশুটি এখনও বেঁচে আছে ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা কাটাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হচ্ছে। তবে শিশুটির মস্তিস্কের অসাড়তায় শরীর সেভাবে কাজ করছে না। আট সদস্যের মেডিকেল বোর্ড নিবিড়ভাবে শিশুটির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন।
মঙ্গলবার থেকে শিশুটির শারীরিক অবস্থার কাঙ্ক্ষিত উন্নতি না হলেও এখনও যেহুত শিশুটির দেহে প্রাণ আছে চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ দিয়েই চেষ্টা করছেন।
গত বৃহস্পতিবার মাগুরায় বোনের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে মাগুরা সদর হাসপাতাল পরে ফরিদপুর সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পরে শুক্রবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গাইনি বিভাগ পরে শিশু শিশু বিভাগের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। ওই দিন শুক্রবার রাতেই শিশুটিকে লাইফ সার্পোটে নেয়া হয়।
চিকিৎসকরা বলছেন, শিশুটিকে শ্বাসরুদ্ধ করে মারার চেষ্টায় ফুসফুস অপ্রয়োজনীয় বাতাস ঢুকে গিয়েছিল। একইভাবে দীর্ঘসময় মতিস্কে অক্সিজেন না পেয়ে ব্রেনের বড় অংশের সেলগুলো অকার্যকার হয়ে পড়েছে। হাসপাতালে আনা নেয়ার পথের এই সময়ে মস্তিষ্কের ক্ষতি বেড়েছে।
শিশুটির অধীকতর উন্নত চিকিৎসার জন্য এবং ভিজিটর ঠেকাতে শনিবার সন্ধায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নেওয়া হয় ঢাকা সিএমএমইচে। সেখানে আট সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে শিশুটির চিকিৎসা চলছে।