আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ দায়ের করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
মঙ্গলবার (৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের কাছে অভিযোগ জমা দেন তিনি।
এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদ, পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম, সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া ও এ কে এম শহীদুল হকসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এক দশক আগে ঢাকা থেকে উধাও হওয়ার পর বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদের খোঁজ মিলেছিল ভারতের শিলংয়ে; সেই ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ‘গুমের’ অভিযোগ জমা দিয়েছেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলছেন, তাকে ‘গুমের’ ঘটনার সঙ্গে অজ্ঞাতনামা আরও অনেকে জড়িত।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনাসহ গুম-খুনে জড়িত সবার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। গুমের ঘটনায় এখন পর্যন্ত যারা গ্রেফতার হয়েছেন, তাদের সাজা এবং যারা পালিয়ে গেছেন, তাদের খুঁজে বের করতে হবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম তার কাছ থেকে অভিযোগটি গ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির আইন সম্পাদক কায়সার কামাল, নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, রুহুল কুদ্দুস কাজল, বদরুদ্দোজা বাদলসহ ২৫-৩০ জন আইনজীবী।
আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির আন্দোলনের মধ্যে ২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকার উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সালাহ উদ্দিন। তখন তিনি যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে দলের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ওই বছরের ১১ মে মেঘালয়ের শিলংয়ের পুলিশ উদ্ভ্রান্ত অবস্থায় সালাহ উদ্দিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
ভারতে প্রবেশ করলেও তার কোনো বৈধ কাগজপত্র সেসময় মেঘালয় পুলিশ না পাওয়ায় ফরেনার্স অ্যাক্টে মামলা দিয়ে তাকে গ্রেফতার দেখায়।
পরে সেই মামলায় খালাস পেলেও পাসপোর্ট না থাকায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তাকে ভারতেই আটকে থাকতে হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে গত বছরের ১১ আগস্ট ট্র্যাভেল পাস (ট্রাভেল পারমিট) নিয়ে নয় বছর পর দেশে ফেরেন এই সাবেক এমপি।