মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধান ও নিবিড় পর্যবেক্ষণে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। তিনি বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সিসিইউ-সম্বলিত সুবিধায় কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থা প্রকৃতপক্ষে ভালো না। তার শারীরিক অবস্থা এই ভালো তো এই খারাপ। এককথায় ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা নিয়ে মন্তব্য করাটা আনপ্রেডিক্টেবল। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড ম্যাডামকে কেবিনে রেখেই টাইম টু টাইম বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, হঠাৎ অসুস্থ বোধ করায় গত ৮ জুলাই ভোরে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেদিন ডা. জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, অসুস্থ বোধ করায় ভোর রাত সোয়া ৪টার দিকে ম্যাডামকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি এখন কেবিনে চিকিৎসাধীন আছেন। এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধায়নে একটি মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসায় নিয়োজিত আছেন।
এর আগে গত ২২ জুন গভীর রাতে ‘হঠাৎ অসুস্থ’ হয়ে পড়লে অ্যাম্বুলেন্সে করে বেগম খালেদা জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়। পরদিন তার হৃৎপিণ্ডে পেস-মেকার সফলভাবে বসানো হয়। দুদিন সিসিইউতে থাকার পর মেডিকেল বোর্ড সিসিইউর সব সুবিধা নিয়ে কেবিনে কয়েকদিন থেকে গত ২ জুলাই গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
এর আগে গতবছরের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন লিভার বিশেষজ্ঞ এনে তার লিভারে অস্ত্রোপচার করা হয়। ৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী হৃদ্রোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।