দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের করিডরে বাজারের ব্যাগ থেকে পাথরের একটি মূর্তি উদ্ধার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আজ সোমবার বেলা দুইটার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পশ্চিমে করিডরের দেয়ালঘেঁষা মেঝেতে ডাস্টবিনের পাশ থেকে মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সোলায়মান হোসেন এ নিশ্চিত করেছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, উদ্ধার মূর্তিটির উচ্চতা সাড়ে ১৪ ইঞ্চি ও চওড়া ৫ ইঞ্চি। মূর্তির ওজন ৩ কেজি ২০০ গ্রাম। মূর্তির মাথায় একটি পাথরের মুকুট ও গলায় মালার নকশা বসানো। নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সোলায়মান হোসেন বলেন, আজ বেলা সোয়া দুইটার দিকে হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী (অস্থায়ী) রাশিদা বেগম (৫৫) জরুরি বিভাগ ও করিডরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছিলেন। এ সময় তিনি করিডরে রাখা ময়লার ঝুড়ির পাশে একটি অপরিষ্কার বাজারের ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় তিনি ওই ব্যাগের ভেতরে বোমা বা বিপজ্জনক কিছু আছে মনে করে বিষয়টি জরুরি বিভাগের চিকিৎসককে জানান। পরে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে জানান। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান এবং ব্যাগটি খোলেন। এ সময় ওই ব্যাগ থেকে পাথরের মূর্তিটি বের করেন। খবর পেয়ে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে উদ্ধার হওয়া মূর্তিটি নিয়ে যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল মতিন বলেন, আজ নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে একটি মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। মূর্তিটি কষ্টিপাথরের কি না বা এর প্রত্নতাত্ত্বিক মূল্য আছে কি না, তা জানার জন্য প্রত্নতত্ত্ব দপ্তরকে একটি লিখিত চিঠি পাঠানো হবে। তাদের পরীক্ষা–নিরীক্ষায় সেটি কষ্টিপাথর হিসেবে প্রমাণিত হলে পরে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে মূর্তিটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেওয়া হবে।