স্পোর্টস ডেস্ক: হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২২০ রানের বিশাল জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সফরের একমাত্র টেষ্টে ৪৭৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ২৫৬ রান গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। মিরাজ এবং তাসকিন ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন।
প্রথম ইনিংসে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের অপরাজিত দেড়শো, তাসকিন আহমেদ, অধিনায়ক মুমিনুল হক এবং লিটন দাশের ফিফটিতে ৪৬৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে মেহেদি হাসান মিরাজ এবং সাকিব আল হাসানের স্পিন ঘূর্ণিতে ২৭৬ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। মেহেদি হাসান মিরাজ ৮২ রানে নেন ৫ উইকেট নিলেও সমান রান খরচায় ৪ উইকেট নেন সাকিব আল হাসান।
টপ অর্ডাররা প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ৮৮ রানে পড়ে টাইগারদের প্রথম উইকেট। জিম্বাবুয়ের সাফল্য বলতে ঐ একটাই। পরের গল্পটা শুধুই বাংলাদেশের। সাইফ হাসান ৪৩ রানে ফিরে গেলেও অপরপ্রান্তে অবিচল ছিলেন সাদমান ইসলাম। দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের ভিত্তি গড়ে দেন তিনি। সাদমান ক্যারিয়ারের প্রথম শতক তুলে নিয়ে অপরাজিত থাকেন ১১৫ রানে। অপরদিকে ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট চালিয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক তুলে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১১৮ বলে ১১৭ রান করে তিনিও অপরাজিত থাকেন। এক উইকেটে ২৮৪ রানে ইনিংস ডিক্লেয়ার করেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। এতে করে স্বাগতিকদের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ৪৭৭ রান।
বড় লক্ষ্যের সামনে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। দলীয় ১৫ রানে মিল্টন শুম্বাকে ফিরিয়ে তাসকিন আহমেদ বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন। এরপর ক্রিজে এসে বাংলাদেশের বোলারদের উপর রীতিমতো ঝড় তোলেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলর। কিন্তু সেঞ্চুরি থেকে ৮ রান দূরে থাকতেই মেহেদি হাসান মিরাজের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপর প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের টপ স্কোরার তাকুয়ানশে কাইতানোকে সাকিব আল হাসান এলবির ফাঁদের ফেলেন। তিনি বিদায়ের আগে ১০২ বলে করেন ৭ রান। বাকিটা সময় নির্বিঘ্নেই কাটিয়ে দেন দিওন মায়ার্স এবং ডোনাল্ড তিরিপানো।
৪০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৪০ রান নিয়ে পঞ্চম দিনের ব্যাটিং শুরু করে বাংলাদেশ। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান প্রথম ঘন্টা নির্বিঘ্নেই কাটান। অবশেষে মায়ার্স-তিরিপানোর জুটি ভাঙ্গেন মিরাজ। শর্ট মিড উইকেটে সাদমানের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মায়ার্স, এর আগে করেছেন ২৬ রান। তিন বল পর আবার মিরাজের আঘাত। ক্ল্যাসিক্যাল অফ স্পিনে টিমিসেন মারুমাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। বাকিটা সময় শুধুই তাসকিন আহমেদের। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। মিরাজের শিকার তিনটি।