এডুকেশন ডেস্ক: হাঁটি হাঁটি পা পা করে এবারে শতবছর পূর্ণ করেছে দেশসেরা বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তারই মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে আজ ঢাবি দিবস।কিন্তু বয়সের ভার যতোটা বেড়েছে, শিক্ষার মান ততোটা বেড়েছে কিনা এই প্রশ্ন সবার। উপাচার্যও স্বীকার করে নেন, ঘাটতি আছে, তবে চেষ্টা চলছে পুষিয়ে নেবার। এজন্য মৌলিক গবেষণা বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দিলেন, এমিরেটাস অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী।
বিশ্ববিদ্যালয় মানে শুধু গৎবাঁধা জ্ঞান অর্জনই না। বরং জ্ঞান অর্জন ও বিতরণ এখানে মুখ্য। মৌলিক গবেষণা, উদ্ভাবন, নতুন ত্ত্ত্ব, শাণিত যুক্তি, মুক্তচিন্তা প্রতিনিয়ত এসবের মধ্য দিয়ে দেশ-জাতি-সমাজকে সামনে এগিয়ে নেয়ার রসদ জোগায় বিশ্ববিদ্যালয়।
বয়সের হিসাবে সদ্যোজাত কুড়ি থেকে এখন বুড়ি- দেশের সবচেয়ে প্রাচীন বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ছোট আকারে শুরু হলেও, শিকড় ছড়িয়ে কলেবর বেড়েছে বড়ো বটের মতোই। তবে উচ্চশিক্ষার মূললক্ষ্য অর্জনে কতোটা এগিয়েছে? এই পর্যায়ে এসেও মোট বাজেটের মাত্র ১.৩২ শতাংশ বরাদ্দ থাকে গবেষণায়।
স্কোপাস ডেটাবেইস অনুযায়ী ২০২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি মাত্র ৭৫৪টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছে। অথচ রিসার্চ সেন্টার ও ব্যুরোই আছে ৫৪টি। জার্নাল সংখ্যা মোটে ১৭টি। পাক্ষিক পত্রিকা আছে ১টি। আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত মৌলিক প্রবন্ধের সংখ্যা যেমন কম, তেমনি কম পিএইডি ডিগ্রিধারী শিক্ষকদের সংখ্যাও।
শিক্ষার মানের এই সংকট স্বীকার করলেন স্বয়ং উপাচার্যও। বলেন, চেষ্টা চলছে উত্তরণের। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মেধার এই নিম্নগতি কবে কাটবে, এই প্রশ্ন যেন সব বিদ্যানুরাগীর।
সূত্র : চ্যানেল টোয়েন্টি ফোর