
মঙ্গলবার (৭ জুন) ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস নিউজকে তিনি বলেন, আমি এই সংগঠনেই বড় হয়ে উঠেছি। আমি তাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান করি এবং মেনে নিচ্ছি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিজেপির প্রাক্তন এই মুখপাত্র নূপুর শর্মার একটি ভিডিও টুইটারে ভাইরাল হয়। সেখানে, জ্ঞানবাপী মসজিদ সংক্রান্ত একটি আলোচনাসভায় নূপুর বিতর্কিত মন্তব্য করেন বলে দাবি করা হয়। এ ঘটনার পরেই তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে রোববার নূপুরকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিজেপি। এ ঘটনায় নাম উঠে আসা আরেক বিজেপি নেতা নবীনকুমার জিন্দলকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন নূপুর শর্মা। নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। এই বিতর্কের জেরে এক বিবৃতি প্রকাশ করে বিজেপি জানায়, কোনও ধর্মীয় ভাবাবেগকে আঘাত করা মন্তব্যকে দল সমর্থন করে না।
এদিকে বিজেপি দুই নেতার মহানবীকে নিয়ে কটূক্তি ইস্যুতে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর তোপের মুখে পরেছে ভারত। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য নেত্রী নূপুর শর্মা এবং নবীনকুমার জিন্দালকে শাস্তি স্বরূপ বরখাস্ত করেও বিতর্ক থামেনি।
আনুষ্ঠানিক ক্ষমার দাবি করেছে সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশ। কুয়েতের বেশ কিছু সুপারশপ থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে ভারতীয় পণ্য। শুধু কুয়েতই নয়, ভারতের ওপর চটেছে ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, সৌদি আরব, পাকিস্তান, বাহরাইন, আরব আমিরাতসহ মুসলিম প্রধান দেশগুলো। ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে কুয়েত, কাতার ও ইরান। এতে অর্থনৈতিকভাবে বেশ চাপে পড়েছে দিল্লি। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও উঠেছে ভারতীয় পণ্য ও সিনেমা বর্জনের ডাক। এরই মধ্যে ভারতের রাজধানী দিল্লি-সহ চার রাজ্যে আত্মঘাতী হামলার হুমকি দিয়ে চিঠি প্রকাশ করেছে আল-কায়দা।