ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, গাজা যুদ্ধ হলো হক ও বাতিলের মধ্যকার যুদ্ধ। প্রত্যেককে আজ সিদ্ধান্ত নিতে হবে কে কোন পক্ষে দাঁড়াবে। গাজায় যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব দিয়ে তিনি আরও বলেন, আমেরিকা সরাসরি যুদ্ধে প্রবেশ করেছে এবং ইহুদিবাদী ইসরায়েলের পেছনে দাঁড়িয়েছে। ইসরায়েলকে আত্মরক্ষার অজুহাতে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অপরাধ চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করছে।
সৌদি আরবের রিয়াদে শনিবার (১১ নভেম্বর) গাজা বিষয়ক ওআইসি’র জরুরি এক বৈঠকে মুসলিম দেশগুলোর নেতৃবৃন্দ গাজায় ইসরায়েলের হামলা অবিলম্বে বন্ধের ওপর জোর দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট রাইসি ইসরায়েলের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
বার্তা সংস্থা ইরান-প্রেস জানিয়েছে, শনিবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে গাজা ও ফিলিস্তিনের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে মুসলিম দেশগুলোর প্রধানদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। গত মার্চে দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনস্থাপনের পর প্রেসিডেন্ট রাইসি প্রথমবারের মতো সৌদি সফরে গেলেন। সৌদি কর্মকর্তারা ফিলিস্তিনী ঐতিহ্যবাহী সাদা রুমাল (কেফিয়া) পরিহিত ইব্রাহিম রাইসিকে অভ্যর্থনা জানান।
বৈঠকের শুরুতে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর যুদ্ধ অব্যাহত রাখার নিন্দা জানান। সেই সঙ্গে তিনি অবিলম্বে সামরিক অভিযান বন্ধ করাসহ গাজায় মানবিক করিডোর তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সৌদি যুবরাজ গাজার প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্বৈত আচরণেরও সমালোচনা করেন। বিন সালমান গাজা যুদ্ধ অব্যাহত রাখার ঘটনাকে নিরাপত্তা পরিষদের ব্যর্থতা বলেও মন্তব্য করেন।
সূত্র: পার্সটুডে