ইকোনোমিক ডেস্ক, আজনিউজ২৪: স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে শিল্প-কারখানা খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এরআগে, গত বছর করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে কঠোর লকডাউনের সুফল যেমন রয়েছে তেমনি দেশব্যাপী এই অচলাবস্থার কারণে লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছিলো বাংলাদেশের অর্থনীতি।
এদিকে, দেশে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুহার আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছালেও মানুষের মাঝে সচেতনতার অভাব রয়েছে চরমে। অন্যদিকে সংক্রমণ রোধে সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনার এক সপ্তাহ হতে চললেও মাঠপর্যায়ে এখনো তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। এমন উদাসীনতা চলতে থাকলে ভয়াবহ বিপর্যয়ের শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে অফিস বন্ধসহ সরকারকে আরো কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ তাদের।
বস্তিতে থাকা এক অসহায় জানান, আমাদের মতো গরিবদের করোনা হয় না, করোনা হয় এসি রুমের মানুষের।
অবহেলা এবং উদাসীনতা, এর থেকে বড় উদাহরণ আর কিইবা হতে পারে। প্রতিদিন শত শত মানুষের মধ্যে থেকেও মুখে নেই মাস্ক। আবার অতি প্রয়োজনীয় এই সুরক্ষাসামগ্রী ব্যবহার না করলেও নেই বিন্দুমাত্র অনুশোচনা।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের অবস্থা দেখে বোঝার উপায় নেই দেশে করোনা বলতে কিছু আছে। বাজার করতে আসা অনেকেই অনাগ্রহী মাস্ক ব্যবহারে। আবার অনেকের সঙ্গে থাকলেও ব্যবহার বিধির ক্ষেত্রে নেই কোনো বালাই।
মহামারির সংক্রমণ রোধে সরকারের দেয়া ১৮ দফা নির্দেশনার ৮ নম্বরে আছে চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি। সংক্রমণ ঝুঁকিতেও অনেক গুণ এগিয়ে হাসপাতাল। অথচ স্পর্শকাতর এমন জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি মানাতে নেই কোনো তৎপরতা।
অন্যদিকে, করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় মসজিদসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানা হলেও দেশ বর্তমানে সংক্রমণের সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছালেও উদাসীন সাধারণ মানুষ। উদাসীন কর্তৃপক্ষও।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেনজীর আহমেদ সময় সংবাদকে বলেন, আমাদের এখন দরকার সমস্ত প্রকার চলাচল বন্ধ করা। যেমন হতে পারে অফিস-আদালত বন্ধ করে দেওয়া, অফিস-আদালত বন্ধ করে দিলেই অনেক চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। ক্ষেত্রবিশেষে যে এলাকা বেশি ঝঁকিপূর্ণ সেখানে কলকারখানাও বন্ধ করে দেওয়া।
মহামারি নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি আক্রান্ত ব্যক্তিদের আইসোলেশন নিশ্চিতের উপরও জোর দেন তিনি।
সূ্ত্র : সময় টিভি ও চ্যানেল টোয়েন্টি ফোর