ন্যাশনাল ডেস্ক: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে অধীর অপেক্ষায় গোটা জাতি। রাষ্ট্রীয় আয়োজনেও চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। পঞ্চাশ বছর আগে যে দৃঢ়তায় ছিনিয়ে আনা হয়েছিল বিজয়, দেশমাতৃকা রক্ষায় সেই দীপ্ত পদচারণার মহড়া কুচকাওয়াজ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে।
স্বাধীনতা, মানচিত্র আর পতাকা। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন। তবে সাধারণ মানুষ মনে করেন স্বাধীনতার মূল যে ভিত্তি সেটির পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি গেল ৫০ বছরেও। অর্থনৈতিক বৈষম্য, নাগরিক সেবাপ্রাপ্তির দুর্ভোগসহ সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে তাই সরকারের সর্বাত্মক কাজ করাই সুবর্ণজয়ন্তীর অঙ্গীকার হওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা।
ব্যক্তিত্বের দৃঢ়তা আর দেশপ্রেমে উজ্জ্বল যিনি তার অবস্থান শীর্ষে। আকাশপানে তাকিয়ে দেখার মতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃপ্ত ভঙ্গিতে এগিয়ে যাওয়ার ভাস্কর্য যেন বিজয়ের ৫০ বছরে বাংলাদেশেরই এগিয়ে যাওয়ার অন্য নাম।
জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে শেষ অনুশীলনটিও ছিল বর্ণিল। এ বছর প্রথমবারের মতো বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে যোগ দিচ্ছে ছয়টি দেশের সশস্ত্র বাহিনী।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেন, মহড়াটি সুন্দরভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। আমরা এখানে গুরুত্ব দিয়েছি ৫০ বছর আগে কোথায় ছিলাম আর এখন কোথায় আছি।
তবে ৫০ বছরে প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির হিসাব-নিকাশে সাধারণ মানুষের আছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
একজন বলেন, আমরা অনেক পেয়েছি। আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র, একটা মানচিত্র ও একটি জাতীয় সঙ্গীত পেয়েছি। আরেকজন বলেন, চার মূলনীতির ভিত্তিতে যে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে আজকে ৫০ বছরে এসে সেই মূলনীতিগুলো নিয়ে আমাদের বিতর্কে জড়াতে হচ্ছে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, সময়ের পরিক্রমায় নাগরিকের প্রত্যাশা বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। আর সেটি মেটাতে প্রয়োজন শক্তিশালী রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো।
পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, স্বাধীনতা আমাদের অনেক কিছু এনে দিয়েছে। সেটি ঠিক। কিন্তু সরকারের কাছে আমাদের আরও অনেক বড় প্রত্যাশা আছে এবং সরকারও সে প্রত্যাশা বা স্বপ্নকে উজ্জীবিত করছে। সার্বিকভাবে বলতে গেলে একটি উন্নত দেশের দিকে যাত্রা করতে হলে উন্নত ইন্সটিটিউশন গড়তে হবে।
দ্বিধা কাটিয়ে, দ্বন্দ্ব ভুলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অপর নাম হোক ১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতে এমনটাই প্রত্যাশা