জানা ওজানা ডেস্ক,এইউজেডনিউজ২৪: চিরায়ত নারীর বাধা-ধরা জগত অতিক্রম করে স্বপ্নকে ছাড়িয়ে যাওয়া বাংলাদেশের কর্পোরেট জগতের একজন বড় তারকা রুবাবা দৌলা মতিন। কাজ করেছেন গ্রামীণ ফোন ও এয়ারটেলের শীর্ষ পর্যায়ে। টেলিকম সেক্টরে দুই দশকের ক্যারিয়ার তাকে দিয়েছে খ্যাতি।
বর্তমানে ব্যস্ত আছেন নিজস্ব ব্যবসা নিয়ে। ছোটবেলায় ইচ্ছা ছিল আইনজীবী হওয়ার। প্রখ্যাত নজরুলসংগীত শিল্পী ফিরোজা বেগম তার ফুফু। যে কারণে সংগীতশিল্পী হওয়ার স্বপ্নও হয়তো কখনও কখনও উঁকি দিয়েছে তার মনে। যদিও আত্মার খোরাক হিসেবে গানকে ধরে রেখেছেন এখনও।
বর্তমানে রুবাবা নিয়মিত চর্চা করেন গান। প্রযোজনা সংস্থা জি সিরিজের ব্যানারে এর আগে মুক্তি পেয়েছে তার মিক্সড অ্যালবাম ‘যাবে যদি চল’। অ্যালবামটিতে রুবাবা দৌলা মোট দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। তবে এসব পরিচয়ই তার গৌণ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ এবং এমবিএ করেছেন রুবাবা দৌলা মতিন। উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন স্টকহোম স্কুল অব ইকোনমিক্স এবং লন্ডন বিজনেস স্কুল থেকে। টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন লিমিটেডের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। সবশেষে ওই প্রতিষ্ঠানের চিফ কমিউনিকেশনস অফিসার পদেও কর্মরত ছিলেন।
পেশাগত কাজের বাইরে রুবাবা সামাজিক নানা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত আছেন। ভীষণ স্টাইলিশ রুবাবা দৌলা গলফ খেলেন নিয়মিত। বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টও তিনি। এছাড়া স্পেশাল অলিম্পিক, জাগো ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। টাই চ্যাপ্টার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও বাংলাদেশ প্যালিয়েটিভ ফাউন্ডেশনের অন্যতম পরিচালক।
রুবাবা দৌলা ভালবাসেন গান গাইতে, শুনতে, ঘুরতে। শুক্রবার ও শনিবার তিনি গানের রেওয়াজ করেন। গজল, রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীত ও পুরনো দিনের আধুনিক গান তার খুব ভাল লাগে।
রুবাবা দৌলা ঘর সাজাতেও বেশ পছন্দ করেন। বিদেশে গেলে মোমবাতি আর তৈজসপত্র কিনে নিয়ে আসেন। শিল্পী কামরুল হাসানের ভাগনি রুবাবা দৌলার বাড়ির দেয়ালে শোভা পায় শিল্পীদের চিত্রকর্ম।
ঢাকার গুলশানে রুবাবার বাড়িতে অ্যান্টিক আর আধুনিকতা যেন মিলেমিশে থাকে সবসময়। সাজ-পোশাকেও তিনি একই রকম। নিত্যনতুন ফ্যাশন এলেই সঙ্গে সঙ্গে সে স্রোতে গা ভাসান। তবে আগে বুঝে নিন, কিসে মানাবে তাকে। বন্ধুদের আড্ডায় প্যান্ট, টপ, স্কার্ট, কুর্তা পরলেও তার প্রিয় পোশাক শাড়ি।
অফিস থেকে শুরু করে বিশেষ দাওয়াত সব জায়গাতেই শাড়ি পরেন রুবাবা। মাঝে মধ্যে সালোয়ার-কামিজও বেছে নেন। সাজেও কোন বাহুল্য থাকে না তার। চোখে ম্যাক ও শ্যানেলের পানিরোধক কাজল, ম্যাকের লিপস্টিক, ববি ব্রাউন ব্র্যান্ডের আইশ্যাডো, ল্যানকমের মাশকারা। এই হলো তার সাজ।
ভারসাস, বারবেরি ও গুচির সুগন্ধি তার প্রিয়। জুতার প্রতিও খুব দুর্বল তিনি। জুতা দেখলে কেনা চাই-ই চাই। উঁচু হিলের জুতা পছন্দ করেন রুবাবা। তবে ব্র্যান্ডের হতে হবে এমন কোন কথা নেই। আরামদায়ক হলেই কিনে ফেলেন।
রান্নাটা শিখেছেন মা মমতাজ সুলতানার কাছ থেকে। বাবা সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মসিহ উদ দৌলা। খেতে পছন্দ ভাত, মাছ ও মাংস।